মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার মধুপুর গ্রামে আশুতোষ বিশ্বাস চায়না কমলা লেবুর চাষ করে ব্যাপক লাভবান হয়েছেন। তার এ বাগান দেখতে প্রতিদিনই বাড়ছে দর্শনার্থীদের ভিড়।
এরই মধ্যে মাগুরার জেলা প্রশাসক আবু নাসের বেগ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আবদুল কাদের, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ সুফি মোঃ রফিকুজ্জামান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মমতাজ মহল, উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ সালমা জাহান নিপাসহ জেলা ও উপজেলার সরকারি কর্মকর্তাগণ, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক এ কমলা বাগান দেখতে গিয়েছেন। সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, প্রতিটি লেবু গাছে থোকায় থোকায় লেবু ধরে আছে। আকারে অপেক্ষাকৃৃত ছোট হলেও এ লেবুগুলোর রঙ বিদেশী চায়না লেবুর মতোই। থোকায় থোকায় লেবু ঝুলে থাকা গাছগুলো দেখতে অনেক সুন্দর। কমলা বাগানের মালিক ও নাকোল সম্মিলনী ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক আশুুতোষ বিশ্বাস বলেন, চার বছর আগে তিনি চুয়াডাঙ্গা থেকে ২০০ টাকা করে ৬৪টি কমলা লেবুর চারা কিনে এনেছিলেন। দ্বিতীয় বছর থেকেই অল্প অল্প কমলা ধরা শুরু হয়েছে।
এ বছর প্রায় প্রতিটি গাছে ৪০ কেজি থেকে ৮০ কেজি কমলা ধরেছে। প্রতি কেজি কমলা বাগান থেকেই পাইকারি ১১০ টাকা টাকা থেকে ১৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে। এ চাষ করতে অন্য ফসলের মতোই জৈব সার, ইউরিয়া, টিএসপি, পটাশসহ কৃষিকাজে প্রচলিত স্বাভাবিক সারই ব্যবহার করতে হয়। মাঝে মাঝে গাছে ওষুধ কীটনাশক, ভিটামিন জাতীয় ওষুধ স্প্রে করতে হয়। উপজেলা কৃষি অফিস শুরু থেকেই খোঁজখবর নিয়ে থাকে। অন্য যে কোনো ফসলের তুলনায় এ চায়না লেবুর চাষ অত্যন্ত লাভজনক। গাছ বড় হলে ফলন আরো বৃদ্ধি পাবে। এ চাষ সম্প্রসারণের জন্য এ বছর তিনি প্রায় ৩ হাজার চারা তৈরি করেছেন। প্রতিটি চারা ১০০ টাকা থেকে ১৫০ টাকা দরে বিক্রি করছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ সালমা জাহান নিপা বলেন, আশুতোষ বাবুর কমলা বাগানে দৃষ্টিনন্দন কমলা ধরেছে। আমরা সকলেই কয়েকবার সেখানে গিয়েছি। একজন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সবসময় খোঁজখবর রাখেন এবং প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেন। অন্য কৃষকদের মাঝে এ চাষ ছড়িয়ে দিতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। অপেক্ষাকৃত উঁচু জমিতে এ চাষ ভালো হয়। ফলন ভালো বিধায় কৃষকরা এ চাষে লাভবান হবেন। অত্যন্ত লাভজনক এ চাষে অন্য কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করতে ইতোমধ্যেই উপজেলা কৃষি অফিস নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।