কিশোরগঞ্জ-৫ (নিকলী-বাজিতপুর) আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য আফজাল হোসেন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে পুনরায় আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন। এ নিয়ে টানা চারবার এ আসনের নৌকার মাঝি হলেন তিনি।
দলীয় মনোনয়ন পত্র হাতে পেয়ে নির্বাচনী এলাকায় এসেছেন গতকাল মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর)। নিকলী-বাজিতপুরের হাজার হাজার মানুষ তাকে ফুলের মালা দিয়ে বরন করেন। পরে বাজিতপুর ডাকবাংলো মাঠে সংবর্ধনা দেওয়া হয় সকল শ্রেণী পেশার মানুষের পক্ষ থেকে।
আসনটি একসময় বিএনপির দুর্গ হিসাবে খ্যাত থাকলেও বর্তমার সংসদ সদস্য আফজাল হোসেনের হাত ধরে এখন আওয়ামী লীগের দুর্গ বললেও ভুল হবেনা।
১৯৯০ সনে স্বৈরাচার সরকারের পতনের পর ১৯৯১ সনের ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে শুরু করে ২০০১ সনের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত টানা তিনবার কিশোরগঞ্জ-৫ (নিকলী-বাজিতপুর) আসনটি ছিলো বিএনপির দখলে।
এরপর ২০০৮ সনে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত আফজাল হোসেন। পরে ২০১৪ সনে দশম ও ২০১৮ সনে একাদশ নির্বাচনেও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে নৌকা প্রতীক নিয়ে টানা তিনবার কিশোরগঞ্জ-৫ (নিকলী-বাজিতপুর) আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। এবার নির্বাচিত হলে টানা চারবার নির্বাচিত হবেন।
হাওর অধ্যুষিত এ আসনটি এক সময় ছিল অবহেলিত অন্ধকার জনপদ। গত ১৫ বছরে শতভাগ বিদ্যুতায়নসহ যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতেও আমূল পরিবর্তন হওয়ায় বর্তমানে বেড়েছে কর্মসংস্থান।
বাজিতপুর উপজেলার হালিমপুর এলাকার জামাল মিয়া বলেন, আমাদের অঞ্চলের ছোট বড় সকল রাস্তা এখন পাকা হয়েছে। ১৪ বছর আগে এসব রাস্তা কাঁচা ছিলো। এখন আর আমাদের এলাকায় বেকার নেই। সিএনজি, রিকশা চালিয়ে রোজগার করা খুব সহজ এখন। আমাদের এলাকার এমপি আফজাল হোসেন টানা তিনবার ক্ষমতায় থেকে আমাদের এলাকার উন্নয়ন করেছে। এর আগে এমন উন্নয়ন কেউ করেনি। আগামীতে আরও উন্নয়ন তিনিই করবেন, এমন আস্থা আছে আমাদের এমপি'র প্রতি।
সংসদ সদস্য আফজাল হোসেন বলেন, আমি ২০০৮ সালে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই অন্ধকার জনপদ নিকলী-বাজিতপুর আলোকিত হয়েছে। এ এলাকার গ্রামগুলো ইতিমধ্যে শহরে পরিনত হতে যাচ্ছে। বিশেষ করে যোগাযোগ ব্যবস্থার বিপ্লব ঘটেছে এ অঞ্চলে। আবার যদি আমি নির্বাচিত হতে পারি তাহলে চলমান উন্নয়ন কাজগুলোর ধারাবাহিকতাসহ বাকী কাজগুলো করব।