ইউরোপ আমেরিকাতেও ত্রিশ শতাংশ ভোট পড়েনা : শামীম ওসমান 

প্রকাশ : ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১৭:৪৮ | অনলাইন সংস্করণ

  নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

নারায়ণগঞ্জ-৪ (ফতুল্লা ও সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনের আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান বলেছেন, নির্বাচন যেভাবে হওয়ার সেভাবেই হবে। আমরা ওদের নিয়ে চিন্তা করছি না। আমরা দেখছি জনগণের অংশগ্রহণ কতটা। যখন জনগণ ভোট দিতে আসবে তখন সেটাকে গ্রহনযোগ্য নির্বাচন বলে। ইউরোপে জনগণের সব সুযোগ আছে। তাও সেখানে ত্রিশ শতাংশ ভোট পড়ে না। আমেরিকায়ও এমনই হয়। আমাদের টার্গেট যাকে ইচ্ছা ভোট দিন কিন্তু ভোটকেন্দ্রে আসুন। এটা আপনার অধিকার, ভোট দিন। নয়ত আপনি সরকারের সমালোচনা করার অধিকার রাখেন না। 

বুধবার (২৯ নভেম্বর) বিকেলে নারায়ণগঞ্জে নির্বাচন কমিশনের অফিসে মনোনয়ন পত্র জমা শেষে একথা বলেন তিনি। এসময় তার পাশে তার ছেলে আইনজীবী অয়ন ওসমান ছিলেন। তবে কোন নেতাকর্মী না নিয়ে অনেকটা একাকীই মনোনয়ন জমা দেন শামীম ওসমান।

তিনি আরও বলেন, যে দেশে বিএনপি জাতির পিতার কন্যাকে ২১ আগষ্ট মারার চেষ্টা করে। ২০০১ সালের ১৬ জুন আমরা তো মারাই গেছি। আমার ২০ জন ছেলে মারা গেছে। ইদানীং জাতির পিতার কন্যাকে মারার জন্য বিদেশে চেষ্টা হয়েছে। জাতির পিতার কন্যার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়কে মারার জন্য বিদেশে পরিকল্পনা করা হয়েছিল। বাংলাদেশে তো আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মারছেই, পুলিশও মারছে। ওরা তো কাল আপনাকেও প্রগতিশীল সাংবাদিক হিসেবে টার্গেট করতে পারে আমাকেও প্রগতিশীল রাজনীতিবিদ হিসেবে টার্গেট করতে পারে। সে ধরনের খবর আমার কাছেও থাকতে পারে পুলিশের কাছেও থাকতে পারে। আমার কাছে থাকলে তাদের দেয়ার দায়িত্ব আমার, তাদের কাছে থাকলে আমার নিরাপত্তার সাথে চলাচলের জন্য বলার দায়িত্ব তাদের। 

অনেকটা একাকী মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, জাতির পিতার কন্যার নির্দেশ নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা মেনে চলা। আমার কমপক্ষে দুই হাজার নেতা আছে যারা আমার চেয়ে যোগ্যতাসম্পন্ন। যাদের কারণে আজ আমি এ জায়গায় আছি। তারা জানলে এখানে ৫০-৬০ হাজার লোক হয়ে যাবে। পরে বলবে নির্বাচন কমিশনের আইন আমরা ভঙ্গ করেছি। 

তিনি বলেন, জনগণ একটা সুষ্ঠু সুন্দর নির্বাচন চায়। আমাদের সভানেত্রী যে নির্দেশ দিয়েছে সেটা অক্ষর অক্ষরে পালন করা আমাদের দায়িত্ব। এখন থেকে একটা সুষ্ঠু নির্বাচনের ধারা বজায় রাখতে যা করা দরকার সেটা আমরা করবো। তাই এ জীবনে আমি প্রথম একা মনোনয়ন জমা দিতে এসেছি। 

গিয়াসউদ্দিনের মনোনয়ন বিতর্কের বিষয়ে তিনি বলেন, আমি তার বিবৃতি দেখিনি। পত্রিকায় দেখেছি তার ছেলে যে আছে কাউন্সিলর তার সচিব এই মনোনয়ন নিয়েছে। তার সিসিটিভি ফুটেজ ও আইডি কার্ড সব দেয়া হয়েছে। আমি তার প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলছি, একটা হল স্ট্যান্ডবাজি। আরেকটা হল নাম প্রচার করা ও মনোনয়ন কিনে অন্য কোন দলে ঢোকা। যখন সে দরজা বন্ধ হয়ে যায় তখন বলা যে আমি কিনি নাই। 

তিনি বলেন, এটা নির্বাচন কমিশনকে বিতর্কিত করছে ও আমাদেরও বিব্রত করছে। বলবে আমরাই কিনিয়েছি তার সম্মানহানি করতে। আমার অনুরোধ যে এটা কিনেছে সেটা যদি তার মতামত না নিয়ে করা থাকে তাহলে এটা একটা অপরাধ। নির্বাচন কমিশনের উচিত তাকে ডেকে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা কেন এটা করেছে। নাহলে এটাতে আমরা বিব্রত হচ্ছি, আমি নিজেও বিব্রত। আমরা তাকে নিয়ে ওভাবে চিন্তা করি না। হয়ত বিএনপির পক্ষ থেকে তার বিরুদ্ধে অ্যাকশন হবে। এজন্য বলছে। যে দিয়েছে তাকে কেন জিজ্ঞাসাবাদ করছে না সেটা আমি এখনও বুঝতে পারছি না।

শামীম ওসমান বলেন, আজ রাস্তা হয়েছে মানুষ খুশি হয়েছে। রাজনীতিকে কেউ ব্যাবসা হিসেবে নেয় কেউ এবাদত হিসেবে। আমি এবাদত হিসেবে নিয়েছি। আল্লাহ যদি শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী করে তাহলে এমন কিছু কাজ করব যেন মানুষ আমার মৃত্যুর পর আমার জন্য দোয়া করে। এটাই আমার লক্ষ্য। আমরা একবার নিষিদ্ধপল্লী উচ্ছেদ করেছি এবার মাদকটা উঠিয়ে দিতে চাই। আপনাদের সকলকে নিয়ে মাদকের বিরুদ্ধে সকলকে সোচ্চার করতে চাই। বড় বড় কাজগুলো সব করে ফেলেছি শেখ হাসিনার আদর পেয়েছি। আমি আমাদের এলাকাকে নতুন বৌয়ের মত সাজাতে চাই।