দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ জেলার মোট ৬ টি সংসদীয় আসনে ১৩ টি রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র মিলিয়ে ৫৪ জন প্রার্থী মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন।
এদের মধ্যে প্রতি আসনে একজন করে আওয়ামী লীগের ৬ জন এবং ৫টি আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে ১০ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন।
জেলায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্যান্য যেসকল রাজনৈতিক দলের প্রার্থী মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন, সেগুলো হলো- জাতীয় পার্টি, গণতন্ত্রী পার্টি, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তি জোট, ইসলামি ঐক্যজোট, জাকের পার্টি, বাংলাদেশ কংগ্রেস, গণফ্রন্ট, তৃণমূল বিএনপি, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আশ্রাফুল আলম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
কিশোরগঞ্জের ৬টি আসনে যারা মনোনয়ন জমা দিয়েছেন, তারা হলেন:
কিশোরগঞ্জ-১ (সদর-হোসেনপুর): বর্তমান এমপি ডা. সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপি (আওয়ামী লীগ) ও তার বড় ভাই মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ সাফায়েতুল ইসলাম (স্বতন্ত্র) এবং তাদের চাচাত ভাই জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম টিটু (স্বতন্ত্র), ডা. মো. আব্দুল হাই (জাতীয় পার্টি), এডভোকেট ভূপেন্দ্র ভৌমিক দোলন (গণতন্ত্রী পার্টি), মো. আনোয়ারুল কিবরিয়া (ন্যাশনাল পিপলস পার্টি-এনপিপি), মো. আব্দুল আউয়াল (সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট), মো. আশরাফ উদ্দিন (ইসলামী ঐক্যজোট-আইওজে), মো. নাসির উদ্দিন (জাকের পার্টি), মোবারক হোসেন (বাংলাদেশ কংগ্রেস), শরীফ আহমদ সাদী (স্বতন্ত্র) ও মো. আবুল কাশেম (বাংলাদেশ কংগ্রেস)।
কিশোরগঞ্জ-২ (কটিয়াদী-পাকুন্দিয়া): আব্দুল কাহার আকন্দ (আওয়ামী লীগ), এডভোকেট মো. সোহরাব উদ্দিন (স্বতন্ত্র), মীর আবু তৈয়ব মো. রেজাউল করিম (গণফ্রন্ট), মো. আহসান উল্লাহ (তৃণমূল বিএনপি), মো. আশরাফ আলী (গণতন্ত্রী পার্টি), আলেয়া (ন্যাশনাল পিপলস পার্টি-এনপিপি), মো. আক্তারুজ্জামান (স্বতন্ত্র) ও মো. বিল্লাল হোসেন (বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট- বিএনএফ)।
কিশোরগঞ্জ-৩ (করিমগঞ্জ-তাড়াইল): বর্তমান এমপি এডভোকেট মো. মুজিবুল হক চুন্নু (জাতীয় পার্টি), মো. নাসিরুল ইসলাম খান আওলাদ (আওয়ামী লীগ), দিলোয়ার হোসাইন ভূঁইয়া (গণতন্ত্রী পার্টি), শামীম আহমদ (স্বতন্ত্র), মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম (ন্যাশনাল পিপলস পার্টি-এনপিপি), মোহাম্মদ মাহফুজুল হক হায়দার (স্বতন্ত্র), মো. নাসিমুল হক (স্বতন্ত্র), মো. গোলাম কবির ভূঞা (স্বতন্ত্র), ওমর ফারুক (ইসলামী ঐক্যজোট-আইওজে) ও মো. রুবেল মিয়া (স্বতন্ত্র)।
কিশোরগঞ্জ-৪ (ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম): বর্তমান এমপি রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক (আওয়ামী লীগ), আ. মজিদ (স্বতন্ত্র), মোহাম্মদ আবু ওয়াহাব (জাতীয় পার্টি), মো. জয়নাল আবদিন (ন্যাশনাল পিপলস পার্টি-এনপিপি), মো. শরীফুল আহসান (কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ), মাওলানা শেরজাহান মোমেন (ইসলামী ঐক্যজোট-আইওজে) ও মো. নসিম খাঁন (ইসলামী ফ্রন্ট)।
কিশোরগঞ্জ-৫ (বাজিতপুর-নিকলী): বর্তমান এমপি মো. আফজাল হোসেন (আওয়ামী লীগ), মো. মাহবুবুল আলম (জাতীয় পার্টি), মো. সোহরাব হোসেন (তৃণমূল বিএনপি), সুব্রত পাল (স্বতন্ত্র), মো. সাজজাদ হোসেন (কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ), এ. কে. এম নাজমুল হক (জাকের পার্টি), মো. রবিন মিঞা (বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক জোট) ও মো. ইমদাদুল হক (বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট)।
কিশোরগঞ্জ-৬ (ভৈরব-কুলিয়ারচর): বর্তমান এমপি নাজমুল হাসান পাপন (আওয়ামী লীগ), তারেক মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম (ন্যাশনাল পিপলস পার্টি-এনপিপি), মো. রুবেল হোসেন (বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট), হেলাল উদ্দিন (বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি-বিএসপি), নূরুল কাদের সোহেল (জাতীয় পার্টি), মো. শাহাবুদ্দীন (স্বতন্ত্র), মোহাম্মদ আয়ুব হোসেন (বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট), আ. হাকিম (জাকের পার্টি) ও মোহাম্মদ আব্দুছ ছাত্তার (স্বতন্ত্র)।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র বাছাই করা হবে।
