দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঘোষিত তফসিল মতে মনোনয়ন পত্র যাচাই বাছাইকালে কক্সবাজার-১, চকরিয়া-পেকুয়া আসনের আওয়ামীলীগের প্রার্থী সালাহ উদ্দীন আহমদ সহ ৫ জনের মনোনয়ন পত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। এ আসনটি মনোনয়ন পত্র দাখিলকারি ১৩ জনের মধ্যে অপর ৮ জনের মনোনয়ন পত্র বৈধ ঘোষণা হয়েছে।
একই সাথে কক্সবাজার ২ মহেশখালী-কুতুবদিয়া আসনে মনোনয়ন পত্র দাখিলকারি ৭ জনের মনোনয়ন পত্র বৈধ ঘোষণা হয়েছে। গতকাল রবিবার কক্সবাজার জেলা রির্টানিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহিন ইমরান জানিয়েছেন, কক্সবাজার ১ আসনের মনোনয়ন পত্র যাচাই-বাছাই শেষ হয়েছে। এখানে ১৩ জন প্রার্থী মনোনয়ন পত্র দাখিল করলেও ৫ জনের মনোনয়ন পত্র বাতিল হয়েছে। অপর ৮ জনের মনোনয়ন পত্র বৈধ ঘোষণা হয়েছে।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের কার্যালয় সূত্র জানিয়েছে, কক্সবাজার ১ আসনে মনোনয়ন পত্র বাতিল হয়েছে আওয়ামীলীগের প্রার্থী সালাহ উদ্দীন আহমদ, স্বতন্ত্র প্রার্থী শফিকুল ইসলাম, কমর উদ্দীন, শামসুদ্দীন মোহাম্মদ ইলিয়াছ ও শাহ নেওয়াজ চৌধুরীর মনোনয়ন পত্র। এর মধ্যে আওয়ামীলীগের প্রার্থী সালাহ উদ্দীন আহমদের মনোনয়ন পত্র বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে ঋণ খেলাপি হওয়া মনোনয়ন পত্রটি বাতিল করা হয়েছে। অপর ৪ জনের মনোনয়ন পত্র বাতিলের কারণ নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এ আসনে মনোনয়ন পত্র বৈধ হয়েছে বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম, মহাসচিব আবদুল আউয়াল মামুন, জাতীয় পার্টির এ. এইচ. সালাউদ্দীন মাহমুদ, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মুহাম্মদ বেলাল উদ্দিন, ওয়ার্কার্স পার্টির আবু মোহাম্মদ বশিরুল আলম, জাতীয় পার্টির হোসনে আরা, বর্তমান সংসদ সদস্য ও চকরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি জাফর আলম, এমপি জাফরের পুত্র তানভীর আহমদ সিদ্দিকী তুহিনের।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহিন ইমরান জানিয়েছেন, যাচাই-বাছাই শেষ মনোনয়ন বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল ও নিষ্পত্তি ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে আপিল করতে প্রার্থীদের বলা হয়েছে।
কক্সবাজার জেলা রির্টানিং কর্মকর্তা ও কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহিন ইমরান জানিয়েছেন, কক্সবাজার ১ আসনের পর কক্সবাজার ২ আসনের মনোনয়ন পত্র যাচাই-বাছাই শেষ হয়েছে। কক্সবাজার ২ আসনে ৭ জন প্রার্থী মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছেন। সকলের মনোনয়ন পত্র বৈধ হয়েছে। ৭ প্রার্থী হলেন, আওয়ামীলীগের বর্তমান সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক, জাকের পার্টির মোহাম্মদ ইলিয়াছ, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি এনপিপির মাহাবুবুল আলম, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান, ইসলামী ঐক্যজোটের মোঃ ইউনুস, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি -বিএসপির মোহাম্মদ খাইরুল আমিন ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন বিএনএম এর প্রার্থী মোহাম্মদ শরীফ বাদশা।