নারায়ণগঞ্জে গ্যাস বিস্ফোরণে গৃহবধূ নিহত, স্বামী ও ছেলে-মেয়ে দগ্ধ
প্রকাশ : ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৬:৪৯ | অনলাইন সংস্করণ
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে গ্যাসের লাইন লিকেজ থেকে জমা গ্যাস বিস্ফোরণে দগ্ধ গৃহবধূ তাছলিমা বেগম (৪০) মারা গেছেন। রোববার ৩ ডিসেম্বর রাতে রাজধানী ঢাকাস্থ শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারী ইন্সটিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থান মারা যান তাছলিমা।
ইন্সটিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক তরিকুল ইসলাম এর সত্যতা নিশ্চিত করে গণমাধ্যমকে জানান, চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার রাতে (৩ ডিসেম্বর) মৃত্যু হয় তাছলিমার। তার শরীরের ৮০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। এ ঘটনায় অন্য তিন দগ্ধ হলেন- নিহতের স্বামী কবির হোসেন, মেয়ে সিনথিয়া (২০) ও ছেলে তাসমিত রায়হান তাসিন (১৬)। তারা চিকিৎসা শেষে বাসায় ফিরে গেছেন। এর আগে শনিবার (২ ডিসেম্বর) রাত ১১টার দিকে রূপগঞ্জের বানিয়াদী এলাকায় বিস্ফোরণের এ ঘটনা ঘটে। নিহত তাছলিমা বেগম পেশায় স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালের নার্স ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানান, বানিয়াদী এলাকায় একতলা বাড়ির একপাশে দুই কক্ষে কবির হোসেনের প্রথম স্ত্রী তাছলিমা তার এক ছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে থাকতেন। আরেক পাশে দুটি কক্ষে দ্বিতীয় স্ত্রী মারুফা তার এক মেয়ে নিয়ে থাকেন। প্রথম স্ত্রী তাছলিমা উপজেলার একটি বেসরকারি হাসপাতাল নার্স হিসেবে কর্মরত ছিলেন। প্রতিদিনের মতো কাজ শেষে শনিবার রাত ৮টার দিকে তিনি বাড়িতে আসেন। ঘরের একটি কক্ষে থাকতেন তিনি। আর আরেকটি কক্ষে থাকতেন দুই ছেলে-মেয়ে।
রাত ১১টার দিকে হঠাৎ তার ঘরের ভেতর থেকে বিকট শব্দ শোনা যায়। শব্দে দুটি কক্ষের দরজা ও জানালা ভেঙে যায়। সঙ্গে সঙ্গে তাছলিমা যে কক্ষে থাকতেন সে কক্ষে আগুন জ্বলে উঠে। এসময় আগুনে দগ্ধ হন তাছলিমা বেগম। তাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে আগুনে দগ্ধ হন তার স্বামী কবির হোসেন, মেয়ে সিনথিয়া ও ছেলে তাসমিত রায়হান তাসিন।
স্থানীয়রা প্রায় এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের রাতেই রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইন্সটিটিউটে ভর্তি করা হয়। তাদের মধ্যে রোববার রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থান মারা যান তাছলিমা বেগম।
রূপগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জুবায়ের হোসেন জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। কীভাবে আগুন লেগেছে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।