পটুয়াখালীর বাউফলে বগা ইউনিয়নের দাউরাভাঙ্গা গ্রামে স্বামী অত্যাচার-নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে রুমা বেগম (৩০) নামের এক গৃহবধূ গায়ে আগুন দিয়ে মারা গেছেন। তার স্বামীর নাম বেল্লাল খান(৩৩)।
সোমবার সকাল ১০ টার দিকে এ ঘটনা ঘটেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, একই উপজেলার মদনপুর ইউনিয়নের দ্বিপাশা গ্রামের ফজলুর রহমানের মেয়ে রুমা বেগমের সাথে ১০ বছর আগে বগা ইউনিয়নের দাউরাভাঙ্গা গ্রামের আরমান খানের ছেলে বেল্লাল খানের বিয়ে হয়। তাদের সংসারে তিন ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে। বেল্লাল খান একজন দিনমজুর। কোন রকম তাদের সংসার চলছিল। অভাবে সংসারে স্বামী স্ত্রী প্রায় প্রতিদিন ঝগড়াঝাটি হতো। স্বামী স্ত্রীকে মারধর করতো।
ঘটনার দিন সোমবার (৪ ডিসেম্বর) স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া ঝাটি হয়। একপর্যায়ে স্বামী তার স্ত্রীকে মারধর করে। এরপর সকাল ১০টার দিকে স্ত্রী রুমা বেগম বাড়ি থেকে ২শ মিটার দূরে একটি ধান খেতে গিয়ে গায়ে কেরাসিন ঢেলে গায়ে আগুন লাগিয়ে দেয়। এ সময় তার শরীরের সত্তর ভাগ পুড়ে যায়। খবর পেয়ে বগা তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ মুমর্ষ অবস্থা রুমা বেগমকে উদ্ধার করে বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠালে দুপুর সাড়ে ১২টার তিনি মারা যান। স্বামী বেল্লাল খানকে আটক করেছে পুলিশ।
এব্যাপারে বগা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহমুদ হাসান বলেন,‘ শুনেছি বেল্লাল তার স্ত্রী রুমাকে প্রায়ই নির্যাতন করতো। ঘটনার দিন তার স্ত্রীকে মারধর করে। এই রাগে ক্ষোভে রুমা বাড়ির পাশে ধান খেতে গিয়ে গায়ে আগুন লাগিয়ে দেয়। বগা তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে বরিশাল পাঠানোর পথে তিনি মারা যান।’
এ ব্যাপারে বগা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে ইনচার্জ ইমতিয়াজ আহম্মেদ বলেন,‘ খবর পেয়ে বগা তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দগ্ধ রুমা বেগমকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য বরিশাল পাঠালে পথে তিনি মারা যান। বাউফল সার্কেলের সিনিয়র এএসপি সাদ্দাম হোসাইন ও বাউফল থানার ওসি আরিচুল হক ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত কার্যক্রম চালাচ্ছেন। রুমার স্বামী বেল্লাল খানকে আটক করা হয়েছে।’