মনোনয়নপত্র বাতিলের বিরুদ্ধে চাঁদপুরে ৫টি আসনে লড়াই করবে ১১ প্রার্থী

প্রকাশ : ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৮:২৩ | অনলাইন সংস্করণ

  শওকত আলী, চাঁদপুর

চাঁদপুর জেলায় নানা কারণে মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া মোট ১১ প্রার্থী আপিল ও নিষ্পত্তিতে অংশ নিতে তাদের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গোছাতে ব্যস্ত হয়ে কাজ করছেন। এই ১১ প্রার্থী তাদের বৈধ অধিকার আদায়ে নির্বাচন কমিশনে গিয়ে তাদের মনোনয়ন বৈধ করতে লড়াই করবে।

বুধবার (৬ ডিসেম্বর) হতে ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যেই মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া প্রার্থীরা তাদের অধিকার আদায়ের লক্ষে বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল ও নিষ্পত্তিতে অংশ নিবেন। এর আগে জেলার ৫টি আসনে মোট ৪৩ জন প্রার্থীর মধ্যে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে আওয়ামী লীগের নৌকার সকল প্রার্থীসহ ৩২ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ এবং ১১ প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল বলে ঘোষনা দেন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান।

তিনি মনোনয়ন বাতিল হওয়া প্রার্থীদের সম্পর্কে বলেন, চাঁদপুর-১ কচুয়া আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থনসূচক তালিকা যাচাই করে সঠিক না হওয়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. গোলাম হোসেন, একই অভিযোগে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. শওকত হোসেন মিয়া, মো. রাহাদ চৌধুরী, প্রস্তাবকারী ও সমর্থনকারী সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকার না হওয়ায় বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. জামাল হোসাইন এবং হলফনামায় স্বাক্ষর না থাকায় ইসলামী ফ্রন্ট বাংলাদেশের মো. সেলিম প্রধানের মনোনয়ন বাতিল করে দেওয়া হয়।

তিনি আরও বলেন, চাঁদপুর-২ মতলব উত্তর দক্ষিণ আসনে ঋণখেলাপি হওয়ায় বাংলাদেশ মুসলিম লীগ বিএমএলের মো. শাহ আলম সরকার, চাঁদপুর-৪ আসনে ফরিদগঞ্জ আসনে ঋণখেলাপির অভিযোগে জাতীয় পার্টির সাজ্জাদ রশিদ এবং তৃণমূল বিএনপির মোহাম্মদ সেলিম, চাঁদপুর-৫ হাজীগঞ্জ শাহরাস্তি আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থনসূচক তালিকা যাচাই করে সঠিক না হওয়ায় মো. জাকির হোসেন প্রধানিয়া, ফরম ২০ ও ২১ পূরণসহ স্বাক্ষর না থাকায় জাসদ প্রার্থী মো. মনির হোসেন মজুমদার এবং হলফনামায় মামলা সংক্রান্ত তথ্য গোপনের কারণে বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক জোটের প্রার্থী আক্তার হোসেন এ’ মনোনয়নপত্র বাতিল করে দেয়।

সোমবার (৪ ডিসেম্বর) দিনব্যাপী চাঁদপুরের ৫টি আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী যথাক্রমে সেলিম মাহমুদ, মোফাজ্জল হোসেন, দীপু মনি, শফিকুর রহমান এবং রফিকুল ইসলামের মনোনয়ন বৈধ হওয়ায় নেতাকর্মীদের মাঝে আনন্দ উল্লাস করতে লক্ষ করা গেছে।

উল্লেখ্য, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১৭ ডিসেম্বর এবং প্রতীক বরাদ্দ ১৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনী প্রচারণা ১৮ ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারির ৫ তারিখ পর্যন্ত করা যাবে এবং আগামী ৭ জানুয়ারি ভোটগ্রহণ করার সিদ্বান্ত নিয়েছে।