বাল্য বিবাহের কারণে উখিয়ায় নিরাপদ মাতৃত্ব নিশ্চিত করা যাচ্ছে না!
প্রকাশ : ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৬:২৩ | অনলাইন সংস্করণ
উখিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
পরিবার কল্যাণ সেবা ও প্রচার সপ্তাহ উপলক্ষে আয়োজিত এক এ্যাডভোকেসি সভায় বক্তারা বলেছেন, নিরাপদ মাতৃত্ব ও পরিকল্পিত পরিবারই হচ্ছে স্মার্ট বাংলাদেশের সূচক।
৭ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) সকার ১১টায় নিরাপদ মাতৃত্ব, পরিকল্পিত পরিবার - স্মার্ট বাংলাদেশ হোক আমাদের অঙ্গীকার" এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আয়োজিত এ্যাডভোকেসি সভা উখিয়া উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ডা: রাজীব পালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।
পরিবার কল্যাণ সেবা ও প্রচার সপ্তাহ (৯-১৪ ডিসেম্বর-২০২৩) উদযাপন উপলক্ষে উখিয়া উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এ্যাডভোকেসি সভায় অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা: মো. সাজেদুল ইমরান, উখিয়া প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক রতন কান্তি দে, এনজিও সংস্থা আরটিএমআই এর প্রতিনিধি, গোলাম কিবরিয়া, আইআরসির প্রতিনিধি ডা: রোমেনা জাহান, ফাল্গুনী দাস, এস আর এইচ আর কোঅর্ডিনেটর ডা: এস এম গোলাম সরোয়ার, শেড এর প্রতিনিধি রমজান আলী, পিএইচডির প্রতিনিধি আক্তারুল আলম প্রমুখ।
সভায় নিরাপদ মাতৃত্ব ও পরিকল্পিত পরিবারই হচ্ছে স্মার্ট বাংলাদেশ উল্লেখ করে বক্তারা আরও বলেন, দেশের উন্নয়নে নিরাপদ মাতৃত্ব ও পরিকল্পিত পরিবার গঠনে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে বর্তমান সরকার।
এই সেবা ও প্রচার সপ্তাহে নিরাপদ মাতৃত্ব, পরিকল্পিত পরিবার, স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। বাংলাদেশে প্রতি বছর ৬৫ হাজার শিশু মারা যায়, প্রায় সাড়ে ৪ হাজার মা শিশু জন্মদানের সময় মারা যায়। গত বছরের তুলনায় এ বছর কিছুটা কমেছে। তবে নিরাপদ মাতৃত্ব শতভাগ নিশ্চিত করতে হবে, এটাই আমাদের লক্ষ্য।' এই জন্য 'বাল্যবিবাহ বন্ধ করতে হবে। আমাদের দেশে এখনো ৫০ ভাগ বাল্যবিবাহ হয়ে থাকে। বাল্যবিবাহের কারণে নিরাপদ মাতৃত্ব নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। সরকার এ বিষয়ে যথেষ্ট পদক্ষেপ নিয়েছে। শিশু ও মাতৃ মৃত্যুর হার অর্ধেকে নেমে এসেছে।'
বক্তারা আরও বলেন, 'কমিউনিটি হাসপাতালে পর্যাপ্ত লোকবল, ওষুধ ও সরঞ্জাম নিশ্চিত করতে হবে পাশাপাশি মায়েদেরও এসব বিষয়ে অবহিত হতে হবে। গর্ভকালীন সময়ে মায়ের প্রতি যথাযথ টেক কেয়ার করতে হবে। তাদের নিরাপদ খাবার ও যত্ন দিতে হবে। কিশোরীদের যথাসময়ে টিকা দিতে হবে।
এ্যাডভোকেসি সভায় পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের বিভিন্ন পর্যায়ে দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তারা ছাড়াও মাঠ পর্যায়ে দায়িত্ব পালনকারী পরিবার কল্যাণ পরিদর্শকারা, বিভিন্ন এনজিও সেক্টরের প্রতিনিধি, গণমাধ্যমকর্মী অংশগ্রহণ করেন।