চবিতে শান্তিচুক্তি ২৬ বছর পূর্র্তি অনুষ্ঠানে উপাচার্য
প্রধানমন্ত্রীর দুরদর্শীতায় পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি ফিরে এসেছে
প্রকাশ : ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৬:৫৪ | অনলাইন সংস্করণ
চট্টগ্রাম ব্যুরো
চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার বলেছেন, সরকারের অগণিত সাফল্যের মধ্যে পার্বত্য শান্তিচুক্তি অন্যতম। দীর্ঘদিন ধরে পার্বত্য এলাকায় বিভিন্ন জনপদে নৈরাজ্য বিশৃংখলা বিরাজ করেছিল। তা অবসান হয়েছে শান্তিচুক্তি করার মাধ্যমে। প্রধানমন্ত্রী দেশরতœ শেখ হাসিনার দুরদর্শী নেতৃত্ব ও বিচক্ষণতার কারণেই শান্তিচুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। এই চুক্তির ফলে পার্বত্য এলাকায় বসবাসরত উপজাতি ও অ-উপজাতি জনগণের মাঝে শান্তি ফিরে এসেছে।
চট্টগ্রাম সেন্টার ফর রিজিওনাল স্টাডিজ, বাংলাদেশ (সিসিআরএসবিডি) কর্তৃক ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তির ২৬ বছর পূর্তি: শান্তি, সম্প্রীতি, উন্নয়ন ও রাজনৈতিক অংশগ্রহণের নিরিখে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের গুরুত্ব’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় ভিসি এসব কথা বলেন। গেল বুধবার (৬ ডিসেম্বর) সকালে চবি উপাচার্য দপ্তরের সম্মেলন কক্ষে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার। চবি সিনেট ও সিন্ডিকেট সদস্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আবুল মনছুর এর সভাপতিত্বে আলোচনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন চবি আইন অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. আবদুল্লাহ আল ফারুক, চবি জাদুঘরের পরিচালক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ বশির আহাম্মদ ও চবি নজরুল গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আনোয়ার সাঈদ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন চবি শিক্ষার্থী পার্থ প্রতীম মহাজন।
উপাচার্য বলেন, পার্বত্য শান্তিচুক্তির পরবর্তী সময়ে ওই অঞ্চলে মানুষের জীবন-মান জেলার স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল, যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ সর্বক্ষেত্রে অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। শান্তিচুক্তির বিভিন্ন ধারাগুলো বাস্তবায়িত হয়েছে। বাকী কয়েকটি ধারা বাস্তবায়নে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
তিনি বলেন, জাতি, ধর্ম, বর্ণ, গোত্র নির্বিশেষে আমাদের বড় পরিচয় হলো আমরা সবাই বাংলাদেশী। জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে এবং প্রধানমন্ত্রী দেশরতœ শেখ হাসিনা ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে আমাদের কাজ করতে হবে। সেই লক্ষ্য নিয়ে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলমত নির্বিশেষে পাহাড়ী জনগোষ্ঠীসহ দেশের সর্বস্তরের নাগরিকের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহন করতে হবে। এই অংশ গ্রহনের মাধ্যমে দেশের সার্বিক উন্নয়ন-অগ্রগতির ধারা অব্যাহত রাখা যাবে।
অনুষ্ঠানে চবি সিনেট ও সিন্ডিকেট সদস্য, চবি শিক্ষক সমিতির নেতা, রেজিস্ট্রার, কলেজ পরিদর্শক, হলের প্রভোস্ট ও হাউজ টিউটর, বিভিন্ন বিভাগীয় সভাপতি, ইনস্টিটিউট ও গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক, প্রক্টর ও সহকারী প্রক্টর, শিক্ষক, চবি বিভিন্ন সমিতির নেতা, চবি অফিস প্রধান, কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিক্ষার্থী, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।