চাঁদপুর জেলাধীন ফরিদগঞ্জের পেশাদার চোর মারধরের শিকার হয়ে ফরিদগঞ্জ থানায় মামলা করতে আসেন। মামলা করতে বিলম্ব হলে এসে লোভে পড়ে আকতার হোসেন (২৫) আবারও থানার নিকটে অবস্থিত মন্দিরের দানবাক্স ভেঙ্গে সেখান থেকে টাকা চুরি করার অপরাধে তাকে বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ আটক করেছে।
তবে শেষ রক্ষা হয়নি। সিসি টিভির ফুটেজ দেখে চুরির ঘটনার ১০ ঘণ্টার মধ্যে পুলিশের জালে আটকা পড়েন চোর আকতার হোসেনের।
শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে প্রেস কনফারেন্সে এসব কথা জানান ফরিদগঞ্জ থানার ওসি মো. সাইদুল ইসলাম। তিনি জানান, উপজেলার চরদুঃখিয়া পূর্ব ইউনিয়নের সন্তোষপুর গ্রামের মৃত মনির হোসেনের ছেলে আকতার হোসেন একজন পেশাদার চোর। নিজ গ্রামের লোকজন তার আতঙ্কে থাকে। চুরি করতে গিয়ে সে অন্তত এলাকাবাসীর হাতে ১০-১৫ বার গণপিটুনির শিকার হয়েছেন। সর্বশেষ কয়েক দিন আগে আকতার মাদক সেবন করতে গিয়ে মারধরের শিকার হয়।
এ ঘটনায় বুধবার দিনগত রাতে তিনি থানায় আসেন মারধরের ঘটনায় মামলা করতে। গভীর রাত হওয়ায় তিনি থানার মুখোমুখি থাকা উপজেলার কেন্দ্রীয় মন্দির শ্রীশ্রী ল²ীনারায়ণ জিউর আখড়ার ভিতরে প্রবেশ করে দানবাক্স ভেঙে টাকা চুরি করে পালিয়ে যান।
থানার নাকের ডগায় চুরির ঘটনায় থানা পুলিশ থানার এবং মন্দিরের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে চোর শনাক্ত করে। পরে অভিযান চালিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে অভিযুক্ত আকতার হোসেনকে সন্তোষপুর গ্রামে তার বাড়ি থেকে আটক করতে সক্ষম হন পুলিশ। এ সময় চুরি হওয়া মালামাল উদ্ধার করে। এ ব্যাপারে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।
পুলিশ আরও জানায়, তার বিরুদ্ধে থানায় চুরির ঘটনায় কেউ মামলা করতে চায় না। ইতোপূর্বে সে চুরির ঘটনায় জেলে গেলে সেখানেও সে জেলের ভিতরে চুরি করে। এমনকি মারধরের শিকায় হয়ে ফরিদগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে চিকিৎসা নেওয়ার সময় ওই চিকিৎসকের টাকাও চুরি করে সে। এ কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করে আকতার হোসেন ।
প্রেস ব্রিফিংকালে উপস্থিত ছিলেন, পরিদর্শক (তদন্ত) প্রদীপ মÐল, প্রেস ক্লাবের সভাপতি মামুনুর রশিদ পাঠানসহ সাংবাদিকরা ।