মানিকগঞ্জে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, অপারেশন ও এনেস্থিসিয়া চিকিৎসক এবং হাসপাতালের পরিচালকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগী রোগীর ভাই মো. সেলিম মিয়া।
অভিযোগ ও রোগীর স্বজনদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, সদর উপজেলার চর মুকিমপুর এলাকার রোজিনা আক্তার (২৬) সিজারিয়ান অপারেশনের জন্য ৩১ অক্টোবর বাসস্ট্যান্ড এলাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি হয়। সেখানে এনেস্থিসিয়া ডাক্তার আবু বকর ও ডাক্তার নরেন কুমার রায় তাকে অপারেশন করেন। অস্ত্রোপচারের সময় রোগীর রক্তনালিসহ একাধিক জায়গা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যায়। রোগীর জরায়ু কেটে ফেলার কথা না থাকলেও জরায়ু এবং প্লাসেন্টা কেটে ফেলা হয়।
হাসপাতাল থেকে রোগী বাসায় গেলে অবস্থা খারাপ হতে থাকে। এরপর রোগীকে মুন্নু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে সেখান থেকে রোগীকে সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। রোগীর হালনাগাদ মেডিকেল হিস্টরি সম্পর্কে ইউনাইটেড হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, অপারেশনকারী ডাক্তার নরেন কুমার রায় ও এনেস্থিসিয়া ডাক্তার মো. আবু বকর অবগত না থাকায় এ দূর্ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করেন রোগীর ভাই। এজন্য হাসপাতালের পরিচালক রাজা মিয়াকেও দায়ী করেন তিনি।
এ বিষয়ে চলতি মাসের ৩ তারিখে সিভিল সার্জন বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন রোগীর ভাই মো. সেলিম মিয়া। সেখানে তার বোন মৃত্যু শয্যায় রয়েছেন বলে উল্লেখ করেন।
এ বিষয়ে, ইউনাইটেড হাসপাতালের পরিচালক মো. আবু রায়হান আল বেরুনী (রাজা) সাংবাদিকদের বলেন, রোগীর ফুল উপরে ছিল। অর্ধেক অপারেশন করার পরই ডাক্তার সেটা দেখতে পায়। এরপর রোগীর স্বজনদের জানানো হয় এ অপারেশনের জন্য চুক্তি মূল্যের চেয়ে বেশি টাকা লাগবে। সেইসাথে প্লাসেন্টা ও জরায়ু কেটে ফেলতে হবে। তাদের সম্মতিতেই এ অপারেশন করা হয়েছে। অপারেশন থিয়েটারে রোগী রেখে এ ধরনের চুক্তির করা যায় কি'না? এর জবাবে তিনি বলেন অবশ্যই চুক্তি করা যায়।
এ বিষয়ে ডাক্তার নরেন কুমার রায় বলেন, আমরা অপারেশন করি। সব রোগী তো আর ভালো হয় না, অনেক সময় অনিচ্ছা সত্ত্বেও দূর্ঘটনা ঘটে যায়।
মানিকগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. মোয়াজ্জেম আলী খান চৌধুরী বলেন, এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত কমিটি করে তার ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।