ঢাকা ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

রংপুরে অর্থনৈতিক অঞ্চল আশায় বুক বেঁধেছে মানুষ

রংপুরে অর্থনৈতিক অঞ্চল আশায় বুক বেঁধেছে মানুষ

রংপুরে একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করা হবে। এই খবরে আশায় বুক বেঁধেছেন রংপুরবাসী। তারা বলছেন, অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করা হলে রংপুর বিভাগের জেলাগুলোর অর্থনৈতিক কর্মকান্ড ত্বরান্বিত হবে।দ্রুত অর্থনৈতিক উন্নয়নের লক্ষ্যে শিল্পায়ন, কর্মসংস্থান, রফতানি বৃদ্ধি ও বহুমুখীকরণে দেশব্যাপী ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসব অর্থনৈতিক অঞ্চলে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের দৃষ্টি আকর্ষিত হয়েছে। ইতিমধ্যে জাপান, চীন, ভারত, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিনিয়োগকারীরা এ অঞ্চলগুলোতে বিভিন্ন শিল্পে বিনিয়োগ করতে শুরু করেছেন।

চলতি বছরের ২ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী রংপুর সফরে এসে এই বিভাগে বর্তমান সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড তুলে ধরেন এবং এ অঞ্চলের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার কথাও জানান। এদিকে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী এরই মধ্যে রংপুরে অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে রংপুর, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধার মধ্যবর্তী স্থানে উপযুক্ত জমি নির্বাচনের জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা গ্রহণ করেছেন বর্তমান রংপুর বিভাগীয় কমিশনার হাবিবুর রহমান। রংপুর জেলার কাউনিয়া উপজেলার টেপামধুপুর ইউনিয়নের হায়বৎ খাঁ মৌজার আর.এস ২০০১ নং দাগে ২৫৪.৩০ একর খাস জমি প্রাথমিকভাবে নির্বাচন করা হয়েছে।

এদিকে রংপুরে অর্থনৈতিক অঞ্চল বাস্তবায়ন করার জন্য স্থানটি নির্বাচিত করে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি সংশ্লিষ্ট দফতরগুলোতে চিঠি পাঠিয়েছেন। এ ছাড়া রংপুর জেলা প্রশাসক ও কাউনিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্থানটিকে নির্বাচন করে স্কেচ ম্যাপসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র বেজা কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়েছেন। গত ২৯ সেপ্টেম্বর জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, ইউপি চেয়ারম্যান, স্থানীয় ইউপি সদস্যদের নিয়ে স্থানটি পরিদর্শন করে স্থানীয়দের সঙ্গে মতবিনিময় করা হয়।

সরেজমিন কথা হয় কৃষক আবদুল করিম ও রিপন মিয়ার সঙ্গে। এ সময় টেপামধুপুর ইউনিয়নের তিস্তা নদী সংলগ্ন হায়বৎ খাঁ এলাকার বাসিন্দা এই দুই কৃষক বলেন, কাউনিয়া উপজেলাসহ বিভিন্ন স্থানে যেতে হলে আমাদের কাঁচা ও বালুর রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে হয়। এতে করে মুমূর্ষু রোগী, স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীসহ সবার যাতায়াতে অনেক কষ্ট হয়। এখানে অর্থনৈতিক অঞ্চল হলে রাস্তাঘাটের উন্নয়নসহ অনেকের কর্মসংস্থান হবে।

টেপামধুপুর ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড সদস্য জহির উদ্দিন বলেন, অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার জন্য এলাকার মানুষজন আশায় বুক বেঁধেছে। অর্থনৈতিক অঞ্চল হলে এলাকার অনেক বেকার যুবকের কর্মসংস্থান হবে।

এ বিষয়ে রংপুর বিভাগীয় কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেন, উল্লেখিত জমি খালি পড়ে থাকায় স্থানীয় মানুষজন ধানসহ অন্যান্য ফসল আবাদ করছেন। আবার কিছু সংখ্যক মানুষ অস্থায়ীভাবে বসতবাড়ি নির্মাণ করে বসবাস করছেন। অর্থনৈতিক অঞ্চল হলে এখানে বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠবে। এ ছাড়া ভালো মানের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও হবে। এতে করে এই এলাকার হাজারো মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। পিছিয়ে পড়া মানুষজন আলোর মুখ দেখবেন।

অর্থনৈতিক
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত