ঠাকুরগাঁওয়ে জাল কাগজ তৈরীর মুল হোতা  বাবু-নেপথ্যে তোফায়েল! 

প্রকাশ : ১২ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৮:২৯ | অনলাইন সংস্করণ

  ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

কফিজুল ইসলাম বাবু, বয়স (৩৫), প্রাইমারি পর্যন্ত পড়ালেখা করেছেন তিনি, তবে মাধ্যমিক সম্পন্ন করতে পারেননি। তার বাড়ি ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার তারাঞ্জু বাড়ি গ্রামে। বাবা একজন ক্ষুদ্র কৃষক। আর বাবুর পেশা হলো জমির ভ‚য়া কাগজপত্র তৈরী করা এবং মানুষকে ঠকানো। আর এ কাজের মূল হোতা তোফাজ্জল হোসেন তোফায়েল। তার বাড়ি পঞ্চগড় জেলা শহরের মসজিদ পাড়া মহল্লায়। 

সম্প্রতি জমির জাল কাগজ-পত্র তৈরী করে এবং ভ‚য়া মালিক সৃষ্টি করে কোটি কোটি হাতিয়ে নিয়ে রাজশাহী জেলার পবা উপজেলার বড়গাছী গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম, বাগমারা উপজেলার বাড়ীগ্রামের সরকার মো. মিজান এবং মোহনপুর উপজেলার খাঁড়ইল গ্রামের মামুন অর রশিদের নামে শতাধিক সংখ্যা লঘু পরিবারের জমি রেজিষ্ট্রি করে নিয়েছেন। এ ঘটনায় কিশন পাল এবং ধীরেন পাল বাদি হয়ে ২৩ জন ব্যক্তির নাম উল্লেখ করে বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট বালিয়াডাঙ্গী আমলী আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, দূর্নীতি দমন কমিশনসহ বিভিন্ন দফতরে অভিযোগও দিয়েছেন তারা। মামলাটি তদন্তনাধিন অবস্থায় রয়েছে।

স্থানীয়রা জানায়, কফিজুল ইসলাম বাবু সম্প্রতি ৮-১০ বিঘা জমি ক্রয় করেছেন এবং তার বাবার কিছু জমি অন্যের কাছে বন্ধকী ছিল, যা ইতিমধ্যে ফেরত নিয়েছেন। এতে প্রায় দেড় কোটি টাকার প্রয়োজন। এতো টাকা তিনি কোথায় পেল ? সকলের মুখে একটাই প্রশ্ন ? এতো টাকা পেল কোথায় ? আর এ কাজে সহযোগিতা করে আসছে ওই ইউনিয়নের ভবানি পাল ওরফে হেন্ডেলু, মকবুল হোসেন, নাসিরুল ইসলামসহ আরও অনেকে। তারাও লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে জানা গেছে। 

অপরদিকে পঞ্চগড়ের সদর এবং আটোয়ারী উপজেলার একাধিক ব্যক্তির সাথে কথা বলে জানা যায়, তোফাজ্জল হোসেন তোফায়েল একজন ভ‚মি দস্যূ। তাকে এলাকায় ভ‚মি দস্যূ নামে চেনে। তিনি কিছুদিন আগে পঞ্চগড় সদর উপজেলার পুকুরী ডাঙ্গায় কাজী গ্রæপকে জমি ক্রয় দেওয়ার নাম করে প্রায় ১ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে পঞ্চগড়ের আটোয়ারীসহ একাধিক স্থানে জমি দখলের অভিযোগ রয়েছে। ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় এই সমস্ত অপকর্ম করতে এসে এলাকার মানুষের কাছে ধাওয়া খেয়েছেন। সম্প্রতি ঠাকুরগাঁওয়ে তার বিরুদ্ধে আদালতে দুইটি মামলাও হয়েছে।   

কফিজুল ইসলাম বাবুর সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করেও পাওয়া যায়নি। তোফাজ্জল হোসেন তোফায়েল বলেন বিষয়টি বারাবাড়ি করার দরকার নেই, আপনারটা আপনার কাছে পৌছে যাবে।

ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক মো. মাহাবুবুর রহমান বলেন এ ব্যাপারে প্রয়োজনিয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তদন্ত প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। মন্ত্রণালয় প্রয়োজনিয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।