ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

সাতক্ষীরায় লোকালয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে কালোমুখো হনুমান

সাতক্ষীরায় লোকালয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে কালোমুখো হনুমান

বিরল প্রজাতির কালোমুখো হনুমান শুধুমাত্র সাতক্ষীরার গাছে গাছে লাফিয়ে বেড়াচ্ছে না, ছুটছে বাসাবাড়িতেও। খাদ্যের অভাবে দলছুট হয়ে পড়েছে কালোমুখো হনুমান। কোথাও ৬টি আবার কোথাও ৪ থেকে ৫টি একসঙ্গে ঘুরে বেড়াতে দেখা যাচ্ছে। উৎসুক জনতা হনুমানগুলো দেখার জন্য এই মহল্লাতে ভিড় করছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, সম্প্রতি এমন দুটি হনুমান দেখা গেছে সেগুলো কিছুটা দুর্বল ও বিমর্ষ।

শুক্রবার সকালে তালা ও পাটকেলঘাটা এলাকার বিভিন্ন গাছে, বাড়ি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রাচীরের ওপর চলাচল করতে দেখা যায় কালোমুখো হনুমান। উৎসুক জনতার মধ্যে অনেকে হনুমানগুলোকে কলা, বিস্কুট, লেবু, পাউরুটি খেতে দিচ্ছে। অনেকে আবার হনুমানকে নানাভাবে বিরক্তও করছে।

জানা গেছে, যশোরের কেশবপুর উপজেলাসহ পার্শ্ববর্তী এলাকা বালিয়াডাঙ্গা, ব্রহ্মকাঠি, রামচন্দ্রপুর, দুর্গাপুর, সাবদিয়া, মজিদপুর এলাকায় সাড়ে ৪০০ থেকে ৫০০টি হনুমান বসবাস করছে। তবে কেশবপুর পশু হাসপাতাল ও খাদ্যগুদাম এলাকায় এগুলোকে বেশি দেখা যায়। কবি মাইকেল মধুসূদনের স্মৃতি বিজড়িত সাগরদাঁড়ি দেখতে সারা বছর কমবেশী পর্যটক আসেন। তাদের দেওয়া খাবারেই এসব হনুমানের জীবন চলত।

স্থানীয়রা জানান, যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলার হনুমান গুলোকে প্রাণী বিভাগের তত্ত্বাবধানে খাবার সরবরাহ করা হয়। তবে কোনো কারণে খাদ্য সংকট দেখা দিলে মাঝে-মধ্যেই কিছু হনুমান লোকালয়ের দিকে চলে আসে। কখনো কখনো অধিক খাদ্য ও ভালো আবাসের সন্ধানে মাইলের পর মাইল অতিক্রম করে এসব কালোমুখো হনুমান।

সাতক্ষীরা জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডা. এ বি এম আব্দুর রউফ জানান, কালোমুখো হনুমান বনের বাইরে বাস করা হনুমানের একটি প্রজাতি। বৈশ্বিক বিরূপ আবহাওয়া, মানুষের উৎপাত, খাদ্য সংকটি এবং প্রতিকূল পরিবেশের কারণে হনুমানগুলো দলে দলে এলাকা ত্যাগ করে থাকে।

তিনি আরও জানান, লোকালয়ে আসা কোনো কোনো হনুমান বনে ফিরে যায়, অনেক হনুমান মারাও যায়। লোকালয়ে এলে হনুমানগুলোকে বিরক্ত না করে সম্ভব হলে প্রয়োজনীয় খাবার দিয়ে তাদের প্রাণ বাঁচানোর আহ্বান জানান এই প্রাণিসম্পদ অফিসার।

হনুমান
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত