মাদারীপুর শহরের রেন্ডিতলা এলাকার লাকি আক্তার (৩০) প্রসূতি ভুল চিকিৎসায় মারা যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে মাদারীপুর মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে ভাঙচুর চালিয়েছে স্থানীয়রা।
স্থানীয় ও হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, মাদারীপুর শহরের রেন্ডিতলা এলাকার মনু বেপারীর স্ত্রী লাকি আক্তারের প্রসব বেদনা উঠলে বুধবার রাতে মাদারীপুর মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে নিয়ে যান। সেখানকার কর্তব্যরত ভিজিটর তাসলিমা বেগম একটি কন্যা শিশু প্রসব করান। পরবর্তীতে রোগী লাকি বেগমকে গুরুতর অসুস্থ দাবী করে প্রথমে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে প্রেরন করা হয়। মাদারীপুর সদর হাসপাতাল থেকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। পরবর্তীতে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে লাকি আক্তার মারা যায়। পরে এই ঘটনায় স্থানীয় লোকজন উত্তেজিত হয়ে মাদারীপুর মা ও শিশু কল্যাণকেন্দ্রে হামলা চালিয়ে দরজা, জানালা, চেয়ার, টেবিল ভাঙচুর করে। হাসপাতাল ভাঙচুরের ঘটনা শুনে মাদারীপুর থানা পুলিশ ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
নিহত নারীর স্বামী মনু বেপারী জানান, আমার স্ত্রীকে তাসলিমা মেরে ফেলেছে। মারা যাওয়ার পর তাকে দাফন করার আগে গোসল করানো সময় মহিলা দেখেন আমার স্ত্রীর নাড়িভুরি টেনে ছিড়ে ফেলেছে। নাড়ি ভুরি টেনে ছিড়ে ফেলার কারনেই আমার স্ত্রী মারা গেছে। আমি তার বিচার চাই।
মাদারীপুর মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের প্রধান ডা. আমেনা খাতুন বলেন, ভুল চিকিৎসায় মৃত্যুর অভিযোগ সঠিক নয়। এখানকার ভিজিটর সঠিক চিকিৎসাই দিয়েছে।
মাদারীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএইচএম সালাউদ্দিন বলেন, হাসপাতাল ভাংচুরের ঘটনা পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। এখন পরিবেশ স্বাভাবিক রয়েছে।
