চাঁদপুর-২ (মতলব উত্তর-দক্ষিণ) আসনের নৌকা সমর্থিত প্রার্থী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম এর অনুসারীদের হামলায় স্বতন্ত্র প্রার্থী এম ইসফাক আহসানের সমর্থক জেলা ছাত্রলীগের ৮জন নেতাসহ ২০জন নেতা-কর্মী মারাত্বক ভাবে আহত হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
তিনি বলেন, আমি নির্বাচনে প্রার্থীতা ঘোষণার পর থেকেই আমার লোকজনের উপর হুমকি-ধমকিসহ মারধর করে আসছে মায়া চৌধুরীর লোকজন। এনিয়ে লিখিত ও মৌখিক ভাবে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক এবং পুলিশ সুপারের নিকট অভিযোগ দেয়া হয়েছে। কিন্তু এরপরও থামেনি হামলা ও নির্যাতন। গতকাল শুক্রবার ও আজ শনিবার নেতা-কর্মীরা আমার বাসায় আসার পথে নৌকা প্রার্থী মায়া চৌধুরীর লোকজন তাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ফাহিম, মতলব উত্তর পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তামিম, ছাত্রলীগ নেতা রাব্বি হাসান শান্ত, আরাফাত হোসেন নিপু, রিহান, তাহসিন, মুরাদ ও শান্ত সরকারসহ কমপক্ষে ১৫ হতে ২০জন নেতাকর্মী গুরুতর ভাবে আহত হয়। আহতদের উদ্ধার করে চাঁদপুর সরকারী জেনারেল হাসপাতাল ও মতলব দক্ষিণ উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে,বলে সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানিয়েছেন। এ ঘটনার পর তাৎক্ষনিক খবর পেয়ে হামলার ঘটনার পরপর মতলব উত্তর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।
নৌকা সমর্থিত প্রার্থীর পক্ষে সোবহান সরকার শুভা, মেহেদী হাসান কাজল, কামরুল, খোরশেদ আলম অপু, হোসেন প্রমানিক, বাবু প্রমানিকসহ ২৫ হতে ৩০ জনের একটি দল এই হামলা চালায় বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানান হয়েছে।
ইসফাক আহসান আরো বলেন, নেতা কর্মীদের উপর এমন হামলার ঘটনায় সাধারণ ভোটাররা মারাত্বক ভাবে সন্ত্রস্ত। এভাবে চলতে থাকলে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করা সম্ভব হবে না। আজকের( ১৬ ডিসেম্বর শনিবারের) এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আমি আবারো লিখিত অভিযোগ জানানোর সকল প্রস্তুতি গ্রহন করেছি । আপনাদের মাধ্যমে সকলের কাছে উদাত্ত আহŸান জানাই একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনী পরিবেশ নিশ্চিতের জন্য।
উল্লেখ্য, নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘনের দায়ে নৌকা প্রার্থী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার কাছে গত ৪ ডিসেম্বর ব্যাখ্যা চায় নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান ও চাঁদপুরের যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ সাইয়েদ মাহবুবুল ইসলাম। এর প্রেক্ষিতে মায়ার পক্ষের আইনজীবী লিখিত ব্যাখ্যা জমা দেন বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে।
