প্রেম নগরে পরিণত সরিষা ফুলের মাঠ 

সিরাজগঞ্জে সরিষা চাষাবাদে মাঠে মাঠে এখন হলুদ ফুলের সমারোহ

প্রকাশ : ১৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ২০:১৪ | অনলাইন সংস্করণ

  এস,এম তফিজ উদ্দিন, সিরাজগঞ্জ

সিরাজগঞ্জে এবার সরিষা চাষাবাদে এখন মাঠে মাঠে হলুদ ফুলের সমারোহ। যেদিকে চোখ যায় সেদিকেই এ ফুলে রঙিন হয়ে উঠেছে মাঠ। মাঠ জুড়ে বিভিন্ন জাতের সরিষা চাষ হয়েছে। এ সরিষার ফুলে মাঠ জুড়ে এখন প্রেম নগরে পরিণত হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, জেলার ৯টি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে প্রায় ৮৬ হাজার হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ হয়েছে। এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় ২ হাজার হেক্টর বেশি জমিতে এ সরিষার চাষাবাদ হয়েছে। দেশে ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে যেমন প্রকৃতির রূপ বদলায়, তেমন বদলায় ফসলের মাঠ। আর সবুজ, সোনালী ও হলুদে সাজে ফসলের মাঠ। এমনি ফসলের মাঠ পরিবর্তনের এ পর্যায়ে হলুদ সরিষা ফুলের সমারোহের সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে চলনবিল অঞ্চলে শীতের সকাল ও বিকেলে এ ফুলের দৃশ্য দেখে অনেকেই আবৃত্ত করে থাকে ছন্দ ও কবিতা। এ হলুদ ফুলের মাঠে মাঠে তরুণ তরুণীরা সেলফি তুলছে। চুলের খোপায় এ ফুলও গাতছে এবং তারা এ ফুল শপথে প্রেম বিনিময়ও করছে।

গত বছরেও জেলায় সরিষা চাষ করে লাভবান হয়েছে কৃষকেরা। সেই লাভের আশায় এ মৌসুমেও সরিষা চাষে ঝুকেছে কৃষকেরা। এ সরিষার মধ্যে টরি-৭, বারি-১৪, বীনা-৯, বীনা-১৪ চাষাবাদ করা হয়েছে বেশি। তবে এবার বেশি সরিষা চাষাবাদ হয়েছে জেলার চলনবিল এলাকার তাড়াশ, রায়গঞ্জ, উল্লাপাড়া, শাহজাদপুর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে এবং কামারখন্দ, কাজিপুর, বেলকুচি ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে এ সরিষা চাষাবাদ করা হয়েছে। এছাড়া জেলার চরাঞ্চলে ইউরিক অ্যাসিড মুক্ত ক্যলানীয়া জাতের সরিষা চাষ হয়েছে। এ মৌসুমে সরিষা চাষে প্রণোদনা হিসাবে কৃষকদের মাঝে নির্ধারিত হারে বিজ ও সার প্রদান করা হয়েছে। এ বিষয়ে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক বাবলু কুমার সূত্রধর আলোকিত বাংলাদেশকে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় আগামী ৩ বছরে ভোজ্য তেলের ৪০% বাড়াতে হবে। এ জেলায় গত বছরের চাইতে প্রায় ২১ হাজার হেক্টর জমিতে বেশি সরিষা চাষ হয়েছে। এ সরিষার ফলন বৃদ্ধির লক্ষ্য সরিষার জমিতে মৌ-বাক্স বসানো হয়েছে। সিরাজগঞ্জসহ বিভিন্ন স্থান থেকে আগত মৌচাষীরা এ মৌ বাক্স বসিয়েছে। এ মধু উৎপাদনের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে প্রায় ৪’শ মেঃ টন। ইতিমধ্যেই মধু উৎপাদন হয়েছে প্রায় ১২০ মেঃ টন। এ মধু সংগ্রহের লক্ষমাত্রা অর্জিত হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।