কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিরাপত্তায় নিয়োজিত এপিবিএনের সদস্যদের সাথে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের পৃথক গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে অস্ত্র-গুলি সহ ৯ রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীকে আটক করেছে এপিবিএন।
সোমবার ভোরে উখিয়ার ৪ নম্বর ও ৩ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পৃথক এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন, ১৪ এপিবিএনের অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মো. ইকবাল।
এসময় ৪ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে ১ টি শটগান, ২ টি ওয়ান শুটারগান, ৪ রাউন্ড রাইফেলের গুলি, ৩ রাউন্ড কার্তুজ ও ৩টি কালো রঙের হাফ হাতা গেঞ্জিসহ ৫ জন রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীকে আটক করা হয়।
আটক এই ৫ জন হলেন, ৩ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মৃত আব্দুর জব্বারের ছেলে মো. হানিফ (৩০), একই ক্যাম্পের আবদুর রশিদের ছেলে মনির আহমদ (৩৫), আবদুল মাবুদের ছেলে আব্দুল হামিদ (২৩), আজিজুর রহমানের ছেলে নূর মোহাম্মদ (১৯) ও ৭ নম্বর ক্যাম্পের রশিদুল্লার ছেলে জাহিদ আলম (২৭)।
৩ নম্বর ক্যাম্পের অভিযানে ২টি ওয়ান শুটারগান, ৯ রাউন্ড রাইফেলের গুলিসহ ৪ জন রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়।
আটক এই ৪ জন হলেন, ওই ক্যাম্পের আবুল হোসেন ছেলে হামিদ হোসেন (২৮), মোহাম্মদ ইসলামের ছেলে মো. ইয়াছিন (অপ্রাপ্তবয়স্ক), মৃত বশির আহমদের ছেলে হাসিম উল্লাহ (২৭) ও জাহিদ হোসেনের ছেলে নূর মোহাম্মদ (২২)।
১৪ এপিবিএনের অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মো. ইকবাল জানিয়েছেন, ক্যাম্পে বিশেষ অভিযানে অংশ হিসেবে ৪ নম্বর ক্যাম্পে গেলে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা গুলি করতে থাকলে পুলিশও নিজেদের জানমাল ও আত্মরক্ষার্থে ৬ রাউন্ড শটগানের সিসা কার্তুজ ফায়ার করে। পরবর্তীতে রোহিঙ্গা ইউনুসের ঘরের পিছনের পরিত্যক্ত ঘর হতে ৫ রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী আটক করে উদ্ধার করা হয় অস্ত্র ও গুলি।
তিনি জানান, অপর এক অভিযানে ৩ নম্বর ক্যাম্পে গেলে পুলিশের উপস্থিতি টেরপেয়ে সন্ত্রাসীরা গুলি করতে থাকলে পুলিশও পাল্টা ৫ রাউন্ড শটগানের সিসা কার্তুজ ফায়ার করে। পরে ঘটনাস্থল থেকে ৪ জনকে আটক করে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়।
এব্যাপারে উখিয়া থানায় পৃথক ২ টি মামলা করে আটকদের সোপর্দ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।