ভোটারদের ভয়ভীতি দেখালে ব্যবস্থা : ইসি রাশেদা সুলতানা

প্রকাশ : ২১ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৫:১৮ | অনলাইন সংস্করণ

  নাটোর প্রতিনিধি

নির্বাচন কমিশনার (ইসি) রাশেদা সুলতানা বলেছেন, ‘ভোটাদের ভয়ভীতি দেখালে এবং বাঁধা সৃষ্টি করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রার্থীরা আচরণবিধি ভঙ্গ করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। অনেক প্রার্থীদের শোকজ করা হয়েছে।’

বৃহস্পতিবার (২১ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে নাটোর জেলা প্রশাসনের হলরুমে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা বলেন, কোনো ভোটার যদি বলে তিনি  আতঙ্কে রয়েছেন। তাকে বাঁধা সৃষ্টি করা হয়েছে, তাহলে কোনো প্রমান বা সাক্ষী লাগবে না আইনশৃংখলা বাহিনী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। ভোটারা নিদ্বিধায় ভোট কেন্দ্রে আসবেন। এবং তারা যাকে খুশি ভোট প্রদান করবেন। সেজন্য নির্বাচন কমিশন, প্রশাসন, আইনশৃংখলা বাহিনী কাজ কররছেন।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশন রাশেদা সুলতানা বলেন, আমরা সকলকে নিয়ে সমন্বয়ের মাধ্যমে অবাধ, সুষ্ঠু, সুন্দর এবং নিরোপক্ষ নির্বাচন করতে চাই। যাতে প্রার্থীরা নিদ্বিধায় ভোট কেন্দ্রে আসতে পারেন, সেজন্য নির্বাচন কমিশন কাজ করছে। আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা দিন-রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। যাতে পরিবেশটা বিঘ্ন না হয়, পরিবেশটা সুন্দর হয়। ভোটাররা যাতে ভোট কেন্দ্রে এসে তাদের পচ্ছন্দের প্রার্থীদের নিদ্বিধায় ভোট দিতে পারেন। আমি ভোটারদের বলবো, আপনারা নির্ভয়ে ভোট কেন্দ্রে আসবেন। এবং আপনার পচ্ছন্দের প্রার্থীদের ভোট প্রদান করবেন।

তিনি আরও বলেন, কোনো ভোটারকে যদি কেউ তার বাড়িতে, বাহিরে, ভোট কেন্দ্রে বাঁধা বা হুকমি, ভয়-ভীতি দেখি আতঙ্ক সৃষ্টি করে সে ব্যক্তি অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত হবে। এবং তার শাস্তি হবে। আমাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে রয়েছে। ভোটের মাঠে প্রার্থীদের আচরণবিধি লংঘন হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবেন। তাদের সামনে কোনো প্রকার অপরাধ সংঘটিত হলে তারা তদন্ত করে রিপোর্ট কমিশনে পাঠাবেন। এরপর তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবেন। ইতিমধ্য অনেক প্রার্থীদের তাদের আচরণবিধি ভঙ্গের কারণে শোকজ করা হয়েছে। যদি ভঙ্গের সত্যতা পায় তাহলে কমিশন সেই প্রার্থীর প্রার্থীতা বাতিলও করতে পারেন। 

এসময় নাটোরের জেলা প্রশাসক আবু নাছের ভূঁঞার সভাপতিত্বে অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার(সার্বিক) জসীম উদ্দীন হায়দার, পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলামসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা এবং প্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।