দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের ভোট গ্রহণ ৭ জানুয়ারি। হাতে আর মাত্র ১৫ দিন বাকি থাকলেও কক্সবাজার ৪ উখিয়া-টেকনাফ আসনে প্রতীক বরাদ্দ পেয়েছেন টেকনাফ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. নুরুল বশর।
বৃহস্পতিবার উচ্চ আদাতের আপিল বিভাগ থেকে প্রার্থীতা ফিরে পেয়েছেন তিনি। আদেশের কপি পাওয়ার পর শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৪ টায় নুরুল বশরকে ঈগল প্রতীক বরাদ্দ দেন কক্সবাজার জেলা রির্টানিং কর্মকর্তা ও কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহিন ইমরান।
তিনি জানান, আদালতের আদেশ মতে এই প্রতীক বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে। ফলে কক্সবাজার ৪ আসনে বর্তমানে প্রার্থীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭ জনে। তিনি সকলকে নির্বাচনের আচরণ বিধি মেনে চলার আহবান জানান।
আনুষ্ঠানিক প্রতীক গ্রহণ শেষে টেকনাফ উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মো. নুরুল বশর বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনের জন্য স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার সুযোগ দিয়েছেন। এই সুযোগ কোনভাবে হাত ছাড়া করা যাবে না। উখিয়া-টেকনাফের মানুষ একটি কালো চক্রের হাতে বন্ধি। যারা মাদক, মানবপাচার ও অপহরণের মতো ভয়াবহ ঘটনার করিগর হয়ে উঠেছেন। দেশব্যাপী একটি মদনামের অংশ হয়েছে। নির্যাতিত-নিপীড়িন হয়েছেন আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীরাও। মানুষ এটার পরিবর্তন চান। ইতিমধ্যে আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের সাবেক বর্তমান নেতা-কর্মীরা প্রকাশ্যে সমর্থন দিয়েছেন। আমি উখিয়া-টেকনাফকে মাদক-মানবপাচার ও সন্ত্রাসী মুক্ত একটি নিরাপদ এলাকা করতে চাই। জনতা আমার সঙ্গে। আমি বিজয় হব।
কক্সবাজার-৪ উখিয়া-টেকনাফ আসনে আগে ৬ জন প্রার্থীর সাথে সংযুক্ত হয়েছে আরও একজন। আগের ৫ জন ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য শাহীন আক্তার (নৌকা), জাতীয় পার্টির নুরুল আমিন ভুট্টো (লাঙ্গল), ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) ফরিদুল আলম (আম), তৃণমূল বিএনপির মুজিবুল হক মুজিব (সোনালী আঁশ), ইসলামী ঐক্যজোটের মোহাম্মদ ওসমান গনি চৌধুরী (মিনার), বাংলাদেশ কংগ্রেসের মোহাম্মদ ইসমাইল (ডাব)।
এই আসনে আওয়ামী লীগের শাহীন আক্তারের সাথে মুল প্রতিদ্বন্দ্বি ছিল না। তবে টেকনাফ উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মো. নুরুল বশর প্রার্থীতা ফিরে পাওয়ায় বদলে গেলে এই সমীকরণ। টেকনাফ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল বশরের রয়েছে নিজস্ব কর্মী বাহিনী। একই সঙ্গে টানা ১৫ বছরের ক্ষমতায় তৃর্ণমুল কর্মীদের অপমূল্যায়ন, নানা গ্রুপের কারণে পুরে ভোটার মাঠ বদলে গেছে।