কালকিনিতে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থককে কুপিয়ে হত্যা অভিযোগ

প্রকাশ : ২৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৬:০১ | অনলাইন সংস্করণ

  মাদারীপুর প্রতিনিধি

দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে মাদারীপুর-৩ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোসাঃ তাহমিনা সিদ্দিকীর ঈগল মার্কার সমর্থক এসকেন্দার খান (৬৮) কে নৌকার মার্কার প্রার্থীর সমর্থকরা হাতুড়ি পেটা ও কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বরিশাল সেবাচিম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) ভোরে কালকিনি উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের রায়পুর ভাটবালী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, কালকিনি উপজেলার লক্ষীপুর ইউনিয়নে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে স্বতন্ত্র প্রার্থীর ঈগল মার্কার মিছিলে নৌকা মার্কার প্রার্থী ড.আবদুস সোবহান গোলাপ এর সমর্থকরা বোমা হামলার ঘটনায় ঈগলের সমর্থক ও পথচারী সহ ১০ জন আহত হন। তাদের উদ্ধার করে উপজেলা হাসপাতাল সহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেই বোমা হামলার ঘটনার জের কাটতে না কাটতে আজ শনিবার ভোরে ঈগল মার্কার সমর্থক লক্ষীপুর গ্রামের মৃত আলী খান ছেলে মোঃ এসকেন্দার আলী খানকে ফজর নামাজ পড়ে সূর্যমনি বাজারে যাওয়ার পথে নৌকা মার্কার সমর্থকরা হাতুড়ি ও লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে দুই পায়ের রগ কর্তন করে ফেলে রাখে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত ডাক্তার উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল সেবাচিম হাসপাতালে প্রেরন করে। পরে সেখানে  চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকাল পৌনে ১২ টার দিকে তিনি মারা যান। এ মৃত্যুর খবরে মাদারীপুর-৩ আসনের নির্বাচনী এলাকা জুড়ে থমথমে অবস্থা বিরাজ করতেছে।

এসকেন্দার আলী খানের ছেলে মিলন খান বলেন, আমি এ হত্যার বিচার চাই। আমার বাবা তাহমিনা সিদ্দিকীর ঈগল মার্কার সমর্থক ছিল।

স্বতন্ত্র প্রার্থীর তাহমিনা সিদ্দিকীর নির্বাচনী পরিচালনা পরিষদের সদস্য ও কালকিনি উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক তৌফিকুজ্জামান শাহীন বলেন, গত বৃহস্পতিবার বিকেলে ঈগল মার্কার শান্তিপূর্ন মিছিলে বোমা হামলা করে ১০ জনকে আহত করেন নৌকার সমর্থকরা। ওই ঘটনায় প্রশাসন কঠিন ব্যবস্তা নিলে আজ পুনরায় ঈগলের সমর্থক এসকেন্দার খানকে এভাবে নির্মম ভাবে কুপিয়ে হত্যা মতো ঘটনা ঘটতো না।

এ বিষয়ে জানতে নৌকা প্রার্থী ড.আবদুস সোবহান মিয়া গোলাপের মুঠোফোনে ফোন দিলে রিসিভ না করায় কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ নাজমুল হাসান বলেন, বরিশাল হাসপাতালে বসে তিনি মারা গেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর পরিবার থেকে এখনও কোন অভিযোগ করেনি। অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।