কক্সবাজার-১ আসনে কল্যাণ পার্টির ইবরাহিমের পক্ষে মাঠে আওয়ামী লীগ
প্রকাশ : ২৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ০০:৪৩ | অনলাইন সংস্করণ
স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার
ঋণখেলাপির অভিযোগে সালাউদ্দিন আহমদের প্রার্থীতা বাতিল হওয়ায় কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) সংসদীয় আসনে আওয়ামী লীগের কোনো প্রার্থী নেই। এখন এ আসনে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা আছেন কল্যান পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম এবং বর্তমান সংসদ সদস্য ও স্বতন্ত্র প্রার্থী জাফর আলম। দলের প্রার্থী না থাকায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা কল্যান পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ ইবরাহিমের হাতঘড়ি মার্কার পক্ষে প্রকাশ্যে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেলে কল্যান পার্টির প্রার্থীর সাথেও এক মতবিনিময় সভা করেন তারা।
আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের দাবি সন্ত্রাসীদের গডফাদার জাফর আলমের অত্যচার থেকে রেহাই পেতে তারা কল্যান পার্টির পক্ষে প্রচারণায় নেমেছেন।
তাদের দাবি, গেল পাঁচ বছর এমপি জাফর আলমের হাতে নিগৃত হয়েছেন বীর মুক্তিযুদ্ধা পরিবার থেকে শুরু করে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ছাত্রলীগ, যুবলীগ, শ্রমিক লীগসহ বিভিন্ন সংগঠনের শত শত নেতাকর্মী। জাফর আলমের অত্যচার থেকে রেহাই পেতে তারা কল্যান পার্টির পক্ষে কাজ করছেন তারা।
জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষেদের সাবেক চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন বলেন, আমরা পাঁচ বছর অত্যচারিত হয়েছি। জাফরের কারণে দলের সুনাম ক্ষুন্ন হয়েছে। তাই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমরা পরিবর্তন চেয়েছিলাম। কিন্তু দল যাকে মনোনয়ন দিয়েছেন তার প্রার্থীতা বাতিল হওয়ায় কল্যান পার্টির পক্ষে প্রচারণায় নেমেছি। আমরা চকরিয়া-পেকুয়ার মানুষ শান্তিতে থাকতে চাই।
জেলা শ্রমিকলীগ নেতা খলিল উল্লাহ বলেন, এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর জাফর ও তার বাহিনীর হাতে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন আওয়ামী লীগ ও সহযোগি সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মী। অনেকের কাছ থেকে কেড়ে নেয়া হয়েছে জমি ও চিংড়ি ঘের। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট বিপ্লবের মাধ্যমে জাফরের পতন ঘটাতে আমরা কল্যান পার্টির প্রার্থীর পক্ষে অবস্থান নিয়েছি।
পেকুয়া উপজেলা যুবলীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যান বিষয়ক সম্পাদক মো: আজমগির বলেন, আমাদের দলের প্রার্থীর প্রার্থীতা বাতিল হওয়ায় আমরা জুলমবাজ, দখলবাজ, চাঁদাবাজ, ডাকাত সর্দার ও সন্ত্রাসীদের গডফাদারের হাত থেকে রক্ষা পেতে দলের নেতাকর্মীরা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জাফর আলম গেল পাঁচ বছর শোষক হিসেবে আমাদের কাছে পরিচিত ছিল। ভয়ে কেউ মুখ খুলতে পারেনি। আমরা ভোটের মাধ্যমে অন্যায়ের বিরুদ্ধে বিপ্লব ঘটাতে চায়।
এদিকে শনিবার বিকেলে চকরিয়া আবাসিক মহিলা কলেজের হলরুমে কল্যান পার্টির সমর্থণে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট ফরিদুল ইসলাম। এতে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি রেজাউল করিম, পৌরসভার মেয়র মো: আলমগীর চৌধুরী, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুল করিম সাঈদী, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা শওকত উপস্থিত ছিলেন।
বক্তব্যে কল্যান পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম তাকে সমর্থণ দেয়ার জন্য জেলা আওয়ামী লীগের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।