ছাত্রীকে পিটিয়ে আহত করলো শিক্ষিকা, স্বামী বলে বেশ করেছে
প্রকাশ : ২৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৭:৪৯ | অনলাইন সংস্করণ
ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
অসুস্থতার কারণে একদিন মাদ্রাসায় যেতে পারেনি ষষ্ঠ শ্রেণী পড়ুয়া ছাত্রী ইসরাত জাহান শারমিন (১২)। কিছুটা সুস্থ হয়ে শনিবার ওই ছাত্রী মাদ্রাসায় গেলে শিক্ষিকা মোছা. মাকসুদা বেগম ওরফে হাছিনা বেগম (৪৫) তাকে লাঠি দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। এসময় শিক্ষার্থীর কান্নার আওয়াজ শুনে মাদ্রাসার অন্যান্য শিক্ষক ও ছাত্রীরা প্রতিবাদ করলে পিটুনি থামিয়ে দেয় শিক্ষিকা হাসিনা বেগম। ততক্ষণে ছাত্রী শারমিন অসুস্থ হয়ে পড়ে। এমন অবস্থায় ছুটি শেষে বাড়িতে চলে আসে শারমিন। বাড়িতে আসার পর অসুস্থতা বোধ করলে রোববার সকালে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায় তার পিতা আতাউর রহমান। সেখানে চিকিৎসা শেষে শিক্ষার্থীর বাবা আতাউর রহমান বাদী হয়ে ওই শিক্ষিকাকে আসামি করে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এমনি এক ঘটনা ঘটেছে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ পৌর সদরের পাটবাজারে উপস্থিত আন-নূর মহিলা মাদ্রাসায়।
এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে স্থানীয় কয়েকজন সাংবাদিক সরেজমিন গিয়ে মাদ্রাসার পরিচালক ওই শিক্ষিকার স্বামী মো. শহিদুল্লাহর কাছে বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মেরেছে তো বেশ করেছে, আপনাদের যা ইচ্ছা করেন। দেখি আপনারা কি করতে পারেন।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর অভিভাবক আতাউর রহমান বলেন, শিক্ষক- শিক্ষিকাগণ অবশ্যই ছাত্রছাত্রীদের শাসন করবেন। কিন্তু শাসনের নামে বেধড়ক মারধর করে হাসপাতালে পাঠাবেন এমনটি কাম্য নয়। আমার মেয়ের যদি কোন কিছু হয়ে যেতো, তখন কি হতো? আমার মেয়ের মতো যাতে আর কোন শিক্ষার্থীর সাথে এমন আচরণ না হয় তাই আমি এঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ মাজেদুর রহমান বলেন, আমি জেলাতে একটা মিটিংয়ে আছি, এবিষয়ে যদি কোন অভিযোগ দিয়ে থাকে তাহলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।