ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

নেত্রকোণায় অগ্নিকাণ্ড, তিন কোটি টাকার ক্ষতি

নেত্রকোণায় অগ্নিকাণ্ড, তিন কোটি টাকার ক্ষতি

নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে চারটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে নগদ টাকাসহ প্রায় তিন কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

সোমবার দিবাগত গভীররাতে শহরের কাচারি রোডের লক্ষী হার্ডওয়্যারে আগুনের সূত্রপাত হয়। ফায়ার সার্ভিসের ৪টি ইউনিটের টানা আড়াই ঘণ্টা চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

ফায়ার সার্ভিস ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, সোমবার রাত ১২টার দিকে মালিক-কর্মচারীরা তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে নিজ নিজ বাসায় চলে যান। পরে রাত ২টার দিকে কাচারি রোডের রুপন সরকারের লক্ষী হার্ডওয়্যারে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। আগুন মুহূর্তেই পাশের রামজয় রায়ের ভোলানাথ ভান্ডার নামের মুদি দোকান, নবীন বনিকের বেঙ্গল হার্ডওয়্যার ও চন্দন বনিকের তুরা গোল্ড প্লেইট হাউসে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে মোহনগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের ২টি ইউনিট, বারহাট্টা ফায়ার সার্ভিসের ১টি ও পার্শ্ববর্তী সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা ফায়ার সার্ভিসের ১টি ইউনিটসহ মোট ৪টি ইউনিট প্রায় আড়াই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। অগ্নিকাণ্ডে চার ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানে থাকা নগদ টাকাসহ প্রায় তিন কোটি টাকার মালামাল সম্পূর্ণভাবে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। মঙ্গলবার সকালে অগ্নিকাণ্ডের ক্ষয়ক্ষতি পরিদর্শন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য সাজ্জাদুল হাসান, পৌরসভার মেয়র লতিফুর রহমান রতন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শহীদ ইকবাল, উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোসাম্মত হাফিজা জেসমিন, মোহনগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. দেলোয়ার হোসেন।

বেঙ্গল হার্ডওয়্যারের মালিক নবীন বনিক বলেন, আমার দোকান ঘরে থাকা প্রায় কোটি টাকার মালামাল সম্পূর্ণভাবে পুড়ে গেছে। এই আগুন আমার সব শেষ করে দিয়েছে। একই রকম মন্তব্য করে অন্যান্য ক্ষতিগ্রস্তরা বলেন, পুণরায় নতুন করে ব্যবসা শুরু করা আমাদের জন্য খুবই কঠিন হবে।

মোহনগঞ্জ উপজেলা জুয়েলার্স মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক দীপক বনিক বলেন, ঘটনাস্থলের দুই পাশে দুইটি তিনতলা বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠান থাকায় আগুনে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কম হয়েছে। অন্যথায় আমাদের আরও অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যেতো।

মোহনগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ইনচার্জ মো, রবিউল ইসলাম বলেন, লক্ষী হার্ডওয়্যারে আগুনের সূত্রপাতের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আমরা আড়াই ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছি। তিনি আরো বলেন, তদন্তের পর অগ্নিকাণ্ডের ক্ষয়ক্ষতির প্রকৃত পরিমাণ জানা যাবে।

নেত্রকোনা
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত