দিনাজপুরে খেজুর রস সংগ্রহে গুড় তৈরীতে ব্যস্ত গাছিরা

প্রকাশ : ২৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৭:৫১ | অনলাইন সংস্করণ

  বীরগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধি

দিনাজপুরের ১৩ টি উপজেলায় খেজুরের রস সংগ্রহে ও গুড় তৈরীতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন গাছিরা। 

শীত যত বাড়ছে, খেজুরের গুড়ের চাহিদাও ততই বাড়ছে। তাই দিনাজপুরের ১৩ টি  উপজেলায় খেজুর রস সংগ্রহ ও রস থেকে গুড় তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন গাছিরা।

গাছিরা জানায়, প্রতিদিন বিকেলে তারা খেজুরগাছের সাদা অংশ চ্যাচ দিয়ে বিভিন্ন রকমের মাটির হাঁড়ি লাগিয়ে রাখা হয়। পরদিন ভোরে সব গাছ থেকে রস সংগ্রহ করে টিনের বড় পাত্রে জ্বাল দিয়ে পাটালি গুড় তৈরি করে। 

স্থানীয়রা জানায়, ভারত সীমান্তবর্তী দিনাজপুরের খেজুর গাছের সংখ্য বেশি। রাজশাহীর বাঘা উপজেলা থেকে আসা গাছিরা শীতের শুরুতেই গাছ থেকে খেজুর রস সংগ্রহ করে। দিনাজপুর জেলার  প্রায দুই হাজার টি খেজুর গাছ আছে। এসব খেজুর গাছ থেকে রস আহরণ ও গুড় তৈরি করে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন তারা।

দিনাজপুরে  রাজশাহীর বাঘা উপজেলা থেকে আসা খেজুর রস সংগ্রহকারীরা   খেজুরের গুড় তৈরির কাজে চলে এসেছেন। দীর্ঘদিন ধরে তারা গুড় তৈরির কাজ করে আসছেন। বছরের পাঁচ মাস তারা এই কাজ করেন দেশের বিভিন্ন স্থানে গিয়ে। বাকি সময় এলাকায় থেকে অন্য ব্যবসা করেন।  প্রতি কেজি খেজুরের গুড় বাজারে পাইকারদের কাছে ১৮০ টাকায় এবং খুচরা ২০০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। ঘরে ঘরে খেজুর রসের পিঠা, পায়েস, গুড়ের মুড়ি-মুড়কি ও নানা ধরনের মুখরোচক খাবার তৈরির ধুম পড়ে এ সময়। তবে অনেকেই বলছেন, বাজারে চিনির দাম বেশি এবং চিনির দামের থেকে একটু বেশি হলেও সুস্বাদু হওয়ায় খেজুরের গুড়ের চাহিদা রয়েছে বেশ।অনেকে খেজুরের গুড় কিনতে ভীড় করেন গুড় তৈরির কারখানায়। 

স্থানীয়রা জানান শীতকালে খেজুর গুড় বা নলেন গুড় ছাড়া বাঙালির চলে না। শীত মানেই পিঠাপুলি-পায়েস, আর খেজুর গুড় ছাড়া ভাবাই যায় না। বর্তমানে অবশ্য ভেজালের যুগে এই গুড়ের স্বাদ আগের মতো পাওয়া যাচ্ছে না।’