দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে চাঁদপুর জেলার ৫টি আসনের প্রার্থীসহ নেতা-কর্মীদের উপস্থিতির জন্য নির্বাচনী জনসভা আহবান করে চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি নাছির উদ্দিন আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল। কিন্তু জনসভা শুরু হলে প্রথমেই দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের জেলা সভাপতি ও সম্পাদক খোঁজ করেন। কিন্তু সভাস্থলে তাদেরকে পাওয়া যায়নি। চাঁদপুরে আওয়ামী লীগের দলীয় কোন্দলের কারণে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে মন্তব্য করছেন দলের নেতারা।
বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) বিকেলে জামালপুর, শেরপুর, কিশোরগঞ্জ, নরসিংদী, বান্দরবান ও চাঁদপুর জেলার সাথে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে পর্যায়ক্রমে বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সর্বশেষ সন্ধ্যায় যুক্ত হন চাঁদপুর জেলার সাথে। তখনই জেলার দুই নেতাকে খুঁজে পাননি। ওই সময় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া দাঁড়িয়ে বলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সভাস্থলে এসে পৌঁছাননি।
চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. জহিরুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রী যে উদ্দেশ্যে জনসভা করেছেন এই সভায় সেটি উপেক্ষা করা হয়েছে। দলের সকলের উপস্থিত থাকার কথা। এরপর জনসভার আহবান করেছে জেলা আওয়ামী লীগ। কিন্তু পরবর্তীতে নৌকা মার্কার প্রার্থীরা বিপরীত ঘোষনা দিয়েছেন মাইকিং করে। প্রধানমন্ত্রীর জনসভার মাধুর্য কোনভাবেই নষ্ট না হয়, সে জন্য আমি ব্যাক্তিগতভাবে আসিনি। আমি আমাদের দলের ঈগল প্রার্থীর পক্ষে কাজ করি।
এই বিষয়ে চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল বলেন, জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে জনসভার আয়োজন করেছি। কিন্তু বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) বিকেলে আমাদের সাথে যোগাযোগ ছাড়াই সদর এমপির পক্ষ থেকে সভার সভাপতি মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী ও সঞ্চালক হিসেবে ডাঃ দীপু মনির নাম মাইকিং করে ঘোষনা করা হয়। যে কারণে আমরা বিতর্ক না জড়িয়ে উপস্থিত হইনি।
চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি নাছির উদ্দিন আহমেদ বলেন, এই ধরণের আয়োজন জেলা আওয়ামী লীগ করে। আমাদের আয়োজন সেভাবেই করা হয়। আমরা আওয়ামী লীগ করি দেশ ও জনগণের স্বার্থে, টাকার জন্য নয়। আমার কবরে আমি যাব। প্রধানমন্ত্রীর কবরে প্রধামন্ত্রী যাবেন। গতকাল মাইকিং করে বিপরীত নাম ঘোষণা করায় সভায় উপস্থিত হইনি। কারণ নেতাকর্মীদের মধ্যে বিশৃঙ্খলা দেখা দিতে পারে।