ফেনীতে ফ্রিজের কম্প্রেসার বিস্ফোরণের ঘটনায় আশিষ কুমার সরকার (৪০) নামে দগ্ধ এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় দগ্ধ হয়েছেন তার স্ত্রী ও শিশু সন্তান। তাদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। শেখ হাসিনা বার্ন ইন্সটিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রোববার ৩১ ডিসেম্বর দুপুরের দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। পরে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
আশিষ ময়মনসিংহের ধুবাউড়া উপজেলার নেপাল সরকারের ছেলে। ওষুধ কোম্পানি এরিস্টোফার্মার ফেনী ডিপোর জুনিয়র অ্যাকাউন্টন্স অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন তিনি। ফেনী শহরের শহীদ শহীদুল্লাহ কায়সার সড়কের স্টার লাইন টার্মিনালের পাশে ইতালি ভবনে স্ত্রী সন্তান নিয়ে ভাড়া থাকতেন আশিষ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক তরিকুল ইসলাম।
নিহত আশিষ কুমার সরকারের দগ্ধ স্ত্রী টুম্পা রানী সরকার জানান, বুধবার রাত সাড়ে ৯ টার দিকে তার স্বামী অফিস থেকে বাসায় ফেরার পর রান্না করতে গিয়ে দিয়াশলাই জ্বালানোর সঙ্গে সঙ্গে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ধারণা করা হচ্ছে, বাসায় থাকা ফ্রিজের কম্প্রেসারের গ্যাস লিকেজ থেকে এ বিস্ফোরণ হয়েছে। কান্না জড়িত কণ্ঠে টুম্পা রানী সরকার বলেন, ‘আমার অবুঝ শিশুটি এখনও জানে না তার বাবা এ পৃথিবীতে আর বেঁচে নেই। তাকে আমি কি ভাবে এই কথাটি জানাব ভেবে পাচ্ছি না।
ডা. তরিকুল ইসলাম জানান, গত বুধবার রাত ২টার দিকে শিশুসহ একই পরিবারের তিনজনকে গুরুতর অবস্থায় জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়। আশিষ কুমারের শরীরের শতকরা ৮২ শতাংশ পুড়ে যায়। রোববার দুপুরে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। এই ঘটনায় আশিষের স্ত্রী টুম্পা রানীর শরীরের শতকরা ৫০ শতাংশ এবং তাদের শিশু ছেলে রিক কুমারের শরীরের শতকরা ৪০ শতাংশ পুড়ে গেছে। তারা বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।