নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান সাংসদ শামীম ওসমান বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে নারায়ণগঞ্জে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। যা নারায়ণগঞ্জবাসীর কাছে দৃশ্যমান। আর নতুন বছরের ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। প্রধানমন্ত্রী নারায়ণগঞ্জের মানুষের জন্য নতুন বার্তা দিবেন এটাই সকলের প্রত্যাশা। কারণ নারায়ণগঞ্জ হলো আওয়ামী লীগের জন্মস্থান। ফলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে নারায়ণগঞ্জের প্রত্যাশাও অনেক।
মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) বিকালে নারায়ণগঞ্জের ইসদাইরে সামছুজ্জোহা ক্রীড়া কমপ্লেক্স মাঠে ৪ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর সমাবেশস্থল পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের একথা বলেন তিনি।
এসময়ে উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ -২ আসনের সংসদ সদস্য আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবু, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই, সাধারণ সম্পাদক এড. আবু হাসনাত মো. শহিদ বাদল, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এড. খোকন সাহা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ্ নিজাম, সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলাল, মহানগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন ভূঁইয়া সাজনুসহ জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। তিনি বলেন, জাতির পিতার কণ্যা আমার নির্বাচনী এলাকায় শেষ জনসভাটা করবেন। এটা আমার জন্য অনেক বড় পাওয়া।
শামীম ওসমান বলেন, আমার প্রথম দায়িত্ব হচ্ছে যেহেতু উনি শুধু শেখ হাসিনা নয় উনি আমাদের বাচ্চার ভবিষ্যৎ। উনার নিরাপত্তাটা আমাদের কাছে সবচেয়ে বেশী। উনার নিরাপত্তা রক্ষীরা প্রচন্ডভাবে ভালো কাজ করছে। আমরা আমাদের মত নিরাপত্তা ব্যবস্থা করব।
তিনি বলেন, হিন্দু ধর্মের লোকেরা হিন্দু ধর্মে এবং আমরা যারা মুসলমান আছি আমার এলাকায় ৫৫ টি ওয়ার্ডে কোরআন খতম চলছে এবং ৮ তারিখ পর্যন্ত চলবে। আল্লাহর ঘর কাবা ঘরে আমার বড় ভাই সেলিম ওসমান ১০ জনকে ওমরাহ করতে পাঠিয়েছেন। ওখানেও তারা আল্লাহর কালাম পাঠ করবেন। আমরা বিশ্বাস করি শেখ হাসিনা এ পর্যন্ত যতবার বেঁচে গেছেন উনাকে কেউ বাঁচায় নাই আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বাঁচিয়েছেন।
তিনি এ দেশ ও দেশের মানুষের জন্য কাজ করছেন। গরীব দুঃখী মানুষের জন্য কাজ করছেন। তাই কেউ কিছু করতে চেষ্টা করলেও করতে পারে কিন্তু উনার উপরে আল্লাহর রহমতের চাঁদর আছে আমি বিশ্বাস করি।
শামীম ওসমান বলেন, নিরাপত্তার প্রশ্নে যেহেতু আমার নির্বাচনী এলাকা আমি আমার নেতাকর্মীদের বলছি, তারা আছেন বলেই আমি শামীম ওসমান, তারা না থাকলে আমার দুই পয়সার দাম নেই। তারা আমার চেয়ে বেশী যোগ্য। যেহেতু নিরাপত্তার ব্যাপার আছে তাই নির্দিষ্ট কিছু লোক ছাড়া আমরা কাউকে মঞ্চে উঠাবোনা। আমাদের অনেক সিনিয়র নেতাদের আমরা হয়তো প্রপার সম্মান দেখাতে পারবোনা তাই হাতজোড় করে ক্ষমা চাচ্ছি।
তিনি বলেন, একটু কষ্ট আছে অনেককে কাছে চেয়েছিলাম পাচ্ছিনা। মিটিংয়ের দিন তারা কষ্ট করে অন্তত মঞ্চে উপস্থিত হবে এটুকু আমরা আশা করি।