কক্সবাজার-৩: ঈগল প্রতীকের প্রচারণায় ইউপি চেয়ার‌ম্যানকে মারধর-গুলি বর্ষণ

থমথমে এলাকায় বিজিবি-পুলিশের টহল

প্রকাশ : ০৩ জানুয়ারি ২০২৪, ১৯:২৪ | অনলাইন সংস্করণ

  স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার

কক্সবাজার-৩ সদর-রামু-ঈদগাঁও আসনে স্বতন্ত্রপ্রার্থী ব্যারিস্টার মিজান সাঈদের ঈগল প্রতীকের প্রচারণায় অংশ নেয়া লোকজনের উপর হামলা ও গুলি বর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এই আসনের আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রাতীকের প্রার্থী সাংসদ সাইমুম সরওয়ার কমলের নেতৃত্বে কয়েক শত কর্মী এ হামলায় অংশ নেন বলে অভিযোগ ওঠেছে।

এসময় রামুর জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়নের  চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগের সভাপতি কামাল শামসুউদ্দিন আহমদ প্রিন্সকে মারধর করে ধরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালানো হয়। এতে জোয়ারিয়ানালার চেয়ারম্যান কামাল শামসুউদ্দিন আহমদ প্রিন্স আহত হয়েছেন।

বুধবার বিকাল সাড়ে ৪ টায় জোয়ারিয়ানালার মাদ্রাসা গেইট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

জোয়ারিয়ানালার চেয়ারম্যান কামাল শামসুউদ্দিন আহমদ প্রিন্স জানান, পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে মাদ্রাসা গেইটে তিনি সহ অন্যান্যরা স্বতন্ত্র প্রার্থীর ঈগল প্রতীকের প্রচারণা চালাচ্ছিলেন। ওই সময় কয়েকটি গাড়ি নিয়ে ঘটনাস্থলে যান নৌকার প্রার্থী এমপি কমলের নেতৃত্বে কয়েক শত কর্মী। এমপি গাড়ি থেকে নেমে লাঠি হাতে এগিয়ে এসে মারধর শুরু করেন। স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে এমপি অস্ত্র হাতে তাকে গুলি করার চেষ্টা করা হয়। এসময় জনতা তাঁর সামনে এসে দাঁড়িয়ে গেলে ৩ রাউন্ড ফাঁকা গুলি বর্ষণ করেন এমপি নিজেই। একই সঙ্গে এমপির সাথে থাকা লোকজন হৈ-চৈ করে স্থানীয় লোকজনকে সরিয়ে নেয়ার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু উত্তেজিত জনগণ চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক অবরোধ করে রেখে। ঘটনাস্থলে পুলিশ-বিজিবি এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।  

চেয়ারম্যান কামাল বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এসএম সাদ্দাম হোসেন। সাদ্দাম আমার উপর হামলার প্রতিবাদ জানালে এমপির লোকজন আবারও ৩ রাউন্ড ফাঁকা গুলি বর্ষণ করেন।

কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এসএম সাদ্দাম হোসেন বলেন, জোয়ারিয়ানালা আমার এলাকায়। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। পরিস্থিতি এখন শান্তিপূর্ণ।

তিনি আরও বলেন, শান্তিপূর্ণ ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ‍নির্বাচনের জন্য প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে নেতা-কর্মীদের পছন্দ মতে প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার অনুমতি দিয়েছেন। চেয়ারম্যান প্রিন্স তাঁর পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা চালানোর অধিকার রাখেন। এখানে হামলা করাটা অন্যায়। ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে আমি নৌকার পক্ষে শুরু থেকে কাজ করছি। প্রিন্স আওয়ামী লীগের নেতা। এই হামলার প্রতিবাদ জানাই।

রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবু তাহের দেওয়ান জানান, ঘটনার খবর পেয়ে ফোর্সসহ তিনি ঘটনাস্থলে রয়েছেন। জড়ো হওয়া লোকজনকে সরিয়ে নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এব্যাপারে নৌকার প্রার্থী এমপি সাইমুম সরওয়ার কমলের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও ফোনে সংযুক্ত পাওয়া যায়নি।

এর আগে ২৭ ডিসেম্বর রামু বাইপাস এলাকায় ঈগলের একটি প্রচারগাড়ি ভাংচুর করা হয়। এ ঘটনায় পরের দিন ১২ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।