লাঙ্গল প্রতীকের পক্ষে কথা না শুনলে হাত-পা ভেঙে দেয়ার ব্যবস্থা করবো। আমাদের মাঝে কিছু কিছু দুষ্ট চক্র আছে, যেটা আমার কাছে কিছু খবর আছে। আমাদের আওয়ামী লীগের কিছু লোক তারা বিভিন্ন দিকে ঘুরছে। আপনারা ঐ লোকগুলোকে আরও ২-৩ দিন সময় আছে চিহ্নিত করেন। আমরা ব্যবস্থা নিবো। আমার কাছে খবর আছে আমাদের দুই-একজন লোক, এই পাড়ারই দুই-একজন লোক যার সাথে সংশ্লিষ্টতা আছে। তারা বিভিন্ন মার্কার পেছনে ঘুরছে। হয়তো টাকার জন্য বা অন্য কিছুর জন্য। আপনারা ওই লোকগুলোকে চিহ্নিত করুন। আমাদের মেয়র সাহেব আছেন, চেয়ারম্যান সাহেব আছেন তাদেরকে আমরা জানাবো। পরবর্তীতে তাদের কথা না শুনলে হাত-পা ভাঙ্গার ব্যবস্থা করবো।’
ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি বিজন বিহারী ভৌমিক লাঙ্গল প্রতীকের মতবিনিময় সভায় আওয়ামী লীগের কিছু নেতাকর্মী অন্য প্রতীকের পক্ষে কাজ করায় এই হুমকি দেন।
৩ জানুয়ারি বুধবার বিকেলে ফেনীর দাগনভূঞা পৌরসভার দাসপাড়ায় ফেনী-৩ আসনে লাঙ্গল প্রতীকের সমর্থনে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলা শাখার আয়োজনে মতবিনিময় সভায় তিনি এ হুমকি দেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী লে. জে. (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী। এ সময় বিশেষ অতিথি ছিলেন দাগনভূঞা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ফেনী জেলা যুবলীগের সভাপতি দিদারুল কবির রতন, দাগনভূঞা পৌর মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক খান। দাগনভূঞা পূজা উদযাপন পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোপাল চন্দ্র সাহার সভাপতিত্বে এ সময় আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
এ ব্যাপারে দাগনভূঞা পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র ওমর ফারুক খানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটি তার ব্যক্তিগত মতামত। এই বক্তব্য আমি এবং উপজেলা চেয়ারম্যান কারো নয়।
প্রসঙ্গত ; ফেনী-৩ (সোনাগাজী ও দাগনভূঞা উপজেলা) ২টি পৌরসভা ১৭টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত এ আসন। জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থীকে সমর্থন জানিয়ে এ আসন থেকে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী মো. আবুল বাশারের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করা হয়। এখানে মোট ভোটার রয়েছে ৪ লাখ ৭৬ হাজার ৩৪৩ জন। এরমধ্যে পুরুষ ২ লাখ ৪৫ হাজার ৬৫৬ জন, নারী ২ লাখ ৩০ হাজার ৬৮৬ জন ও তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ১ জন। এ আসনে মোট ভোট কেন্দ্র ১৪৪টি। ভোট কক্ষের সংখ্যা ৯৮৮টি।
লাঙ্গল প্রতীকের মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী ছাড়াও চূড়ান্ত ভোটের লড়াইয়ে রয়েছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত স্বতন্ত্র হাজী রহিম উল্যাহ (ঈগল), তৃণমূল বিএনপির আজিম উদ্দিন আহমেদ (সোনালী আঁশ), বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির তবারক হোসেন (একতারা), ইসলামী ফ্রন্ট বাংলাদেশের আবু নাসির (চেয়ার), বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের নিজাম উদ্দিন (মোমবাতি), বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের জোবায়ের ইবনে সুফিয়ান (ছড়ি), স্বতন্ত্র প্রার্থী আনোয়ারুল কবির রিন্টু আনোয়ার (বাঁশি), আওয়ামী লীগ সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী আবুল কাশেম আজাদ (ট্রাক) ও ইঞ্জিনিয়ার ইশতিয়াক আহম্মেদ সৈকত (কাঁচি)।