আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন গোষ্ঠী দেশে নাশকতাসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে নানাবিধ কাজ করে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত বৃধবার (৩ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১১ টায় কাউনিয়া থানাধীন ৫নং কাউনিয়া বালাপারা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান র্যাব-১৩ কে এই মর্মে জানান যে, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য হিসাবে পরিচয় দিয়ে ২ জন লোক কিছুদিন ধরে তার এবং বিভিন্ন প্রার্থীর সমর্থকদের কাছ থেকে টাকা আদায় করে যাচ্ছে।
অভিযোগ পেয়ে র্যাব-১৩ ওই রাতেই রংপুর জেলার কাউনিয়া থানাধীন বালাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এর অফিস কক্ষ হতে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব পরিচয়ে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে ভূয়া র্যাব সদস্য লালমনিরহাট জেলার কালিগঞ্জ থানার মোঃ আবু সাঈদ (৩৫) এবং তার সহযোগী রংপুরের সাজেদুল ইসলাম সৌরভ (৩২)’কে ভূয়া র্যাব পরিচয়পত্র, র্যাব জ্যাকেট এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যবহৃত নানাবিধ সামগ্রীসহ গ্রেফতার করে।
আবু সাঈদ পুলিশ বাহিনীতে রংপুর জেলায় কনস্টেবল হিসাবে কর্মরত ছিলেন চাঁদা আদায়ের অভিযোগের প্রেক্ষিতে চলতি বছরেই তিনি পুলিশ বাহিনী হতে চাকুরীচ্যুত হন। এছাড়াও চাকুরীচ্যুত হওয়ার পূর্বে তিনি র্যাব-১০ এর সদস্য ছিলেন বলে জানা যায়। চাকুরীচ্যুত হওয়ার পর থেকেই দেশের বিভিন্ন স্থানে তিনি ভূয়া আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর গোয়েন্দা সংস্থা এবং ভূয়া র্যাব সদস্যের পরিচয়ে চাঁদা আদায় করে আসছিলেন। তিনি ও তার সহযোগী সর্বশেষ বুধবার রংপুর জেলার কাউনিয়া থানাধীন ৫নং কাউনিয়া বালাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ১। মোঃ আনছার আলী (৫৪), ২। মোঃ আমিরুল ইসলাম (৩৯) এবং মোঃ আমিরুল ইসলাম (৪৯) এর নিকট থেকে চাঁদা আদায় করেছেন বলে জানা যায়।
র্যাব-১৩’র উপ পরিচালক মেজর এইচ এম ওমর ফারুক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আবু সাঈদ চাকুরীচ্যুত হওয়ার পর থেকেই দেশের বিভিন্ন স্থানে তিনি ভূয়া আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর গোয়েন্দা সংস্থা এবং ভূয়া র্যাব সদস্যের পরিচয়ে চাঁদা আদায় করে আসছিলেন বলে দোষ স্বীকার করেন। আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে আসামীদ্বয়কে রংপুর জেলার কাউনিয়া থানায় হস্তান্তরের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।