মেঘনায় কার্গোর ধাক্কায় সুন্দরবন লঞ্চের তলায় ফাটল, নারী নিখোঁজ
প্রকাশ : ০৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১৮:০৫ | অনলাইন সংস্করণ
চাঁদপুর প্রতিনিধি
চাঁদপুরের মেঘনা নদীতে ঘন কুয়াশার কারণে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা বরিশালগামী এমভি সুন্দরবন-১৬ লঞ্চ মালবাহী কার্গোর ধাক্কায় তলা ফেটে চরে আটকা পড়েছে। এতে এক নারী যাত্রী নিখোঁজ এবং অপর যাত্রী আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) দিনগত রাত সাড়ে ১১ টার দিকে মেঘনা নদীর চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার আমিরাবাদ এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিখোঁজ নারী রীনা বেগম (৩০)। তিনি পিরোজপুর জেলার পারের হাট সংকরপাশা এলাকার মো. ওয়ালি উল্লাহর স্ত্রী। স্বামী স্ত্রী দুজনই লঞ্চে ছিলেন। স্বামী ওয়ালি উল্লাহ তার স্ত্রী নিখোঁজ বলে দাবী করেন।
এই ঘটনার পর লঞ্চে থাকা যাত্রীরা আতংকিত হয়ে পড়েন এবং একজন নিখোঁজ হলেও বড় ধরণের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পায় প্রায় পাঁচ শতাধিক যাত্রী।
তবে ধাক্কা দেয়া সেই কর্গো জাহাজটি পালিয়েছে বলে জানিয়েছেন নৌ-পুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ কামরুজ্জামান।
তিনি জানান, ঘটনার পর যাত্রীদের উদ্ধার ও নিরাপত্তা দিতে চাঁদপুর সদর ও মোহনপুর নৌ-পুলিশ ঘটনাস্থলে কাজ করেছেন। তবে ঘন কুয়াশার কারণে কাজ কিছুটা ব্যাহত হয়েছে বলে জানান তিনি।
শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) সকালে ঘটনাস্থলে থাকা চাঁদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ কামরুজ্জামান জানান, দুর্ঘটনায় একজন যাত্রী নিখোঁজ এবং অপর এক যাত্রী আহত হয়। আহত যাত্রীকে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
দুর্ঘটনায় কবলিত সুন্দরবন-১৬ লঞ্চের সুপার ভাইজার সিরাজুল ইসলাম জানান, দুর্ঘটনার পর তারা লঞ্চটিকে নিরাপদে মেঘনা নদীর আমিরাবাদ এলাকায় চরে বিড়িয়ে দেন। এরমধ্যে রাত ৪ টার দিকে ডেক এবং প্রথম শ্রেণীর ২৫০জন যাত্রী এমভি সুন্দরবন-১৫ ঘটনাস্থল থেকে বরিশালের উদ্দেশ্যে নিয়ে গেছে। এই লঞ্চের সুপারভাইজার দুলাল জানান, সকাল সাড়ে ৮ টায় তারা বরিশাল লঞ্চঘাট গিয়ে পৌঁছে।
এমবি সুন্দরবন-১৪ লঞ্চের সুপারভাইজার মোঃ ইউনুছ জানান, লঞ্চের কেবিনসহ বাকি প্রায় ২৫০ যাত্রীকে নিয়ে সকাল ৯টায় তারা বরিশাল উদ্দেশ্যে ছেড়ে যান। তাদের যাওয়া পর দুর্ঘটনায় কবলিত লঞ্চটি ঢাকার উদ্দশ্যে পুনরায় ছেড়ে যায়। এই ঘটনায় মালবাহী কর্গো মার্কেন্টাইল-৩ এর বিরুদ্ধে মামলা হবে।
চাঁদপুর নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের উপ-পরিচালক বশির আলী খান জানান, দুর্ঘটনার পর থেকে যাত্রীদের নিরাপদে গন্তব্য পৌঁছানোর জন্য তত্ত্বাবধায়ন করা হয়। সকল যাত্রীদেরকে একই কোম্পানীর দুটি লঞ্চে করে বরিশালে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।