চাঁদপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেছেন, আপনারা জানেন ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যে এই নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহনযোগ্য করার জন্য জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে আমরা সার্বিক নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। এই অঞ্চলের ভোটাররা যেন নির্বিঘ্নে ভোট কেন্দ্রে এসে ভোট দিতে পারেন সে জন্য নিরাপত্তা দৃষ্টিকোন থেকে সকল ব্যবস্থা সম্পন্ন করেছি। আমরা মনে করছি সারাদেশে একটি আদর্শ নির্বাচন হবে। সে লক্ষ্যে নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহন করেছি। আপনারা জানেন চাঁদপুর জেলায় মোট ৭০০ ভোট কেন্দ্র আছে। তার মধ্যে অর্ধেকেরও বেশী কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছি।
শনিবার (৬ জানুয়ারি) রাতে চাঁদপুর সরকারি কলেজ ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে আমরা অধিক সংখ্যক নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করেছি। আপনারা জানেন আমাদের ২২টি কেন্দ্র আছে যেগুলো নদী বেষ্টিত এলাকায়। মেঘনা নদীর পশ্চিম পাড়ে। এসব কেন্দ্রগুলোতেও আমরা অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করেছি। এছাড়াও মোবাইল টিমও কাজ করছে পর্যাপ্ত সংখ্যক। স্টাইকিং ফোর্স কাজ করছে এবং স্ট্যান্ডবাই পোর্সও রেখেছি। সাধা পোষাকে আমাদের গোয়েন্দারাও তৎপর আছে। গোয়েন্দা বাহিনীর অন্য যারা আছে তাদের সাথেও আমাদের সমন্বয় হচ্ছে। শুক্রবার আমাদের সকল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে মিটিং হয়েছে। শনিবার প্রত্যেক থানায় পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সাথে সমন্বয় হয়েছে। ইতোমধ্যে জেলার সকল কেন্দ্রে নির্বাচনি সামগ্রী নিরাপদে পৌঁছেছে।
পুলিশ সুপার বলেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন নির্বাচন প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছে। সেই বিষয়টি মাথায় রেখেই নিরাপত্তা পরিকল্পনা সাজিয়েছি। প্রতিটি কেন্দ্রে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। চাঁদপুর জেলায় ২ হাজার পুলিশ সদস্যসহ দশ হাজার আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সদস্য বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে মোতায়েন রয়েছে বলে জানান তিনি।
এসময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) সুদীপ্ত রায়, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাশেদুল হক চৌধুরীসহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।