সিরাজগঞ্জে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন

প্রকাশ : ০৭ জানুয়ারি ২০২৪, ২০:২১ | অনলাইন সংস্করণ

  স্টাফ রিপোর্টার, সিরাজগঞ্জ

সিরাজগঞ্জের ৬টি সংসদীয় আসনের নির্বাচনী এলাকার ভোট কেন্দ্র সমূহে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সতন্ত্রসহ ৩১ জন প্রার্থী নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রোববার সকাল ৮টা থেকে ওই নির্বাচনী এলাকার ৮৯২ টি ভোট কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ শুরু হয় এবং সবকয়টি কেন্দ্রে মোট ভোটারের সংখ্যা ২৫ লাখ ১২ হাজার ১০০ জন। দুপুরে কেন্দ্রসমূহে ভোটারদের উপস্থিতি সংখ্যা ছিল মোটামুটি। এরমধ্যে নারী ভোটারের সংখ্যা ছিল বেশি। সকাল ও দুপুরে বেশকিছু কেন্দ্রের বাইরে বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটে। সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কঠোর তৎপরতায় বড় ধরণের কোন ঘটনা ঘটেনি। তবে সিরাজগঞ্জ-৩ নির্বাচনী এলাকার ভোট কেন্দ্রে জাল ভোট দেয়ার চেষ্টার অভিযোগে ৩ জনকে ৬ মাস করে কারাদন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত। দিনভর প্রায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশে কেন্দ্রসমূহে ভোটগ্রহণ হয় এবং বিকেলে ৪ টায় ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রসমূহে ভোট গণনা শুরু হয়েছে। এ গণনায় অধিকাংশ ভোট কেন্দ্রে নৌকা এগিয়ে রয়েছে।

সিরাজগঞ্জ-১ (কাজিপুর-সদরের একাংশ) আসনের তানভীর শকিল জয় এমপি (নৌকা), সিরাজগঞ্জ-২ (সদর-কামারখন্দ) আসনের ড, জান্নাত আরা হেনরী (নৌকা), সিরাজগঞ্জ-৩ (রায়গঞ্জ-তাড়াশ) আসনের ডাঃ আব্দুল আজিজ এমপি (নৌকা), সতন্ত্র প্রার্থী সাখাওয়াত হোসেন সুইট (ঈগল)। এ আসনে নৌকা ও ঈগলের ভোটযুদ্ধের কথা থাকলেও নৌকা এখন এগিয়ে। সিরাজগঞ্জ-৪ (উল্লাপাড়া) আসনের সাবেক এমপি শফিকুল ইসলাম (নৌকা), সিরাজগঞ্জ-৫ (বেলকুচি-চৌহালী) আসনের আব্দুল মমিন মন্ডল এমপি (নৌকা), সতন্ত্র প্রার্থী সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ বিশ্বাস (ঈগল)। এ আসনে ঈগলের বিজয় নিশ্চিত বলে অনেকেই অভিমত ব্যক্ত করেছেন।

এছাড়া সিরাজগঞ্জ-৬ (শাহজাদপুর) আসনে সাবেক এমপি চয়ন ইসলাম (নৌকা)। এ আসনের  সতন্ত্র প্রার্থী হালিমুল হক মিরু (ঈগল) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে ভোট কারচুপির অভিযোগ এনে নির্বাচন স্থগিত ও পুনরায় নির্বাচনের দাবী জানান। তবে সিরাজগঞ্জ-৫ আসন ব্যতিত সবকয়টি আসনেই নৌকার বিজয় নিশ্চিত বলে বিশিষ্টজনেরা এখন এই অভিমত ব্যক্ত করেছেন।  উল্লেখ্য, জেলার ৬টি সংসদীয় আসনে নির্বাচনী ভোট কেন্দ্রসমূহে ৩৪ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, ১২ জন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করেন। সেইসাথে পুলিশের মোবাইল টিম ৯২টি,  সেনাবাহিনীর ২৩টি পেট্রল টিম, ১৫ প্লাটুন বিজিবি, র‌্যাবের ১২টি টহল টিম, পুলিশ ও আনসার সদস্যরা কেন্দ্রসমূহে দায়িত্ব পালন করেন।