নিহতের পিতা নজরুল ইসলাম বলেন, ২০২৩ সালের ১ অক্টোবর আমার মেয়ের সঙ্গে আরিফের প্রেম করে বিয়ে হয়। বিষয়টি আমরা মেনে নিলেও জামাতা আরিফ প্রতিনিয়ত যৌতুকের জন্য নির্যাতন করত। আমার মেয়ে আমাদের বলার পর তাকে জিজ্ঞাসা করলে উল্টো আমাদের নানাভাবে হুমকি দিত। ৭ জানুয়ারি রাতে আমার মেয়ে আমাদের জানায় যৌতুকের জন্য দিনভর নির্যাতন করেছে। সোমবার (৮ জানুয়ারি) দুপুরে একরামপুরস্থ আফতাব উদ্দিনের বাড়ির ভাড়া বাসা থেকে একজন ফোন করে জানায় মেয়ে ফাঁসি দিয়েছে। আমরা দ্রুত গিয়ে মেয়ের লাশ নামানোর পর দেখি শরীরে বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আমরা নিশ্চিত আমার মেয়েকে হত্যার পর ঝুঁলিয়ে রেখে পালিয়ে গেছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, দক্ষিণ লক্ষনখোলা এলাকার শাহাবুদ্দিনের ছেলে লম্পট আরিফ তার প্রথম স্ত্রীকেও হত্যা করেছিল। প্রথম স্ত্রী পান্না আক্তারকে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় দীর্ঘদিন কারাবন্দী ছিলেন আরিফ। জেল থেকে বেরিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করে। লম্পট আরিফ দ্বিতীয় স্ত্রীকে রেখে পুণরায় গত বছর ১ অক্টোবর তৃতীয় বিয়ে করে।
এ বিষয়ে বন্দর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা জানান, নিহতের লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরন করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর কারন নিশ্চিত হওয়া যাবে।