নেত্রকোণা জেলাশহরের এক বাসা থেকে জোছনা বেগম নামের সত্তরোর্ধ এক নারীর হাত, পা ও মুখ বাঁধা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (০৮ জানুয়ারি) রাত ১১টা ১৫মিনিটের দিকে শহরের নিউটাউন-বিলপাড় এলাকার ওই বাসা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। জোছনা বেগম ওই মহল্লার প্রয়াত আবুল মুনশীর স্ত্রী। এই ঘটনায় সাদ্দাম হোসেন, সাব্বির হোসেন ও রিয়াদ হাসান নামের ৩ তরুনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।
নেত্রকোণা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ আবুল কালাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ, প্রতিবেশী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক দেওয়ান শান্তা আহমেদসহ অন্যরা জানান, জোছনা বেগমের ৩ ছেলে, ২ মেয়ে। এক ছেলে বরিশাল ও এক ছেলে বগুড়ায় থাকেন। তিনি ওই বাসায় বড় ছেলে ফারুক হোসেন মিলটন ও তার পরিবারের সাথে বসবাস করে আসছিলেন। কয়েকদিন আগে মিলটন ব্যক্তিগত কাজে বরিশাল গিয়েছেন। তার স্ত্রীও বেশ কয়েকদিন ধরে বাসায় নেই। সোমবার মিলটন বাসায় একা থাকা মাকে খোঁজ-খবর নেওয়ার জন্য বার বার ফোন দেন। রিসিভ না হওয়ায় মিলটনের মামা শহরের বাসিন্দা ফেরদৌস মোল্লাসহ কয়েকজন ওই বাসায় আসেন। এ সময় বাসার দরজায় বাইরে থেকে তালা দেওয়া ছিল। তারা তালা ভেঙ্গে প্রবেশ করে ঘর অগোছালো, আলমারী খোলা ও মেঝেতে জোছনা বেগমের মরদেহ দেখতে পায়। খবর পেয়ে পুলিশ এসে আলামত সংগ্রহ ও মরদেহ উদ্ধার করে। জোছনা বেগমকে শ্বাস রোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ওসি মুহাম্মদ আবুল কালাম বলেন, রহস্য উদঘাটনে ইতোমধ্যেই কাজ শুরু হয়েছে। পিবিআইয়ের পক্ষ হতেও তদন্ত শুরু করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা পিবিআইয়ের পরিদর্শক অভিরঞ্জন দেব।