দিনাজপুর জেলার ১৩টি উপজেলায় ভুট্টার চাষ লক্ষমাএার ছড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বলে জানিয়েছেন কৃষকরা। শীতের প্রকোপ কম থাকা, সঠিক সময়ে বৃষ্টি এবং রৌদ্রের প্রখরতা না থাকায় ভুট্টার ফলন ভালো হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিঘা প্রতি ফলন হয় ৭০-৮০ মণ। বাজারে প্রতি মণ কাঁচা ভুট্টা বিক্রি হয়ে থাকে ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকা। আর শুকনা ভুট্টা বিক্রি হয়ে থাকে প্রতি মণ ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৪০০ টাকা পর্যন্ত।
ভুট্টার ভালো ফলন ও দাম পাওয়ায় জেলায় বাড়ছে আবাদ। দিনাজপুর জেলার কয়েকটি উপজেলারর এলাকা ঘুরে দেখা যায়, বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে ভুট্টার খেত। কৃষকরা কিছু কিছু খেতে গাছের আগা ও পাতা ছেঁটে ফেলেছেন, যেন ফলের গায়ে রোদের তাপ ভালো করে লাগতে পারে।
দিনাজপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩- ২০২৪ অর্থবছরে জেলায় ৭৪ হাজার হেক্টর জমিতে ভুট্টার চাষাবাদ করা হয়েছে। গত বছরের চেয়ে এবার ভুট্টার আবাদ বেশি হয়েছে বলে জানা গেছে। জেলায় সবচেয়ে বেশি ভুট্টার আবাদ হয় বীরগঞ্জ, কাহারোল, বিরল, চিরিরবন্দর ও সদর উপজেলায়।
দিনাজপুর জেলার কৃষকরা বলেন, ভুট্টা চাষে লাভ বেশি টেনশন কম থাকে। ধান চাষ করলে যত বিপদ। ধান কাটা শ্রমিকের সংকটের পাশাপাশি মজুরি বেশি। তাই ভুট্টা চাষে কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে।, ধানের চেয়ে ভুট্টায় অনেক বেশি লাভ। তাই ভুট্টা চাষে আগ্রহ বেড়েছে কৃষকদের। দিনাজপুরে দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ভুট্টার আবাদ। গত চার বছরে জেলা শহরে গড়ে ওঠা পাঁচটি ফিড মিলে চাহিদা বেড়েছে ভুট্টার। ফলে চাহিদা বেড়ে যাওয়া ও ভালো দাম পাওয়ায় কৃষকরা ভুট্টা আবাদে ঝুঁকছেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোঃ নুরুজ্জামান বলেন, সাধারণত নদীর ধারে পলিমিশ্রিত ঢালু জমি ভুট্টা চাষের জন্য উপযোগী। দীর্ঘ দিন যে জমিগুলো অনাবাদি থাকত, কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করে সেসব জমিকেও চাষাবাদের আওতায় আনা হচ্ছে। তাছাড়া ভুট্টার আবাদ বাড়াতে সরকারি প্রণোদনা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে জেলার সাড়ে ১২ হাজার কৃষককে ২ কেজি করে ভুট্টার বীজ ও ২০ কেজি ডি এফ পি ও ১০ কেজিসহ মোট প্রতি জন কৃষককে ৩০ কেজি করে সার সরবরাহ করা হয়েছে।