ঢাকা ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

পুত্র সন্তানের শখে ৫ মাসের শিশুকে অপহরণ, ১০ দিন পর উদ্ধার

পুত্র সন্তানের শখে ৫ মাসের শিশুকে অপহরণ, ১০ দিন পর উদ্ধার

স্বামীর প্রথম স্ত্রীর পরপর দুই কন্যা সন্তান হওয়ায় দ্বিতীয় স্ত্রী আঁখি আকতার মীম আশা করেছিলেন তার একটি পুত্র সন্তান হবে। কিন্তু তারও হলো আরেকটি কন্যা সন্তান। সেই কন্যা সন্তানটি অন্যের কাছে রেখে মীম এক ব্যক্তিকে স্বামী সাজিয়ে কক্সবাজার সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নের বাংলাবাজার এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় আশ্রয় নেয়। এরপর ওই ভাড়া বাসা মালিকের ৫ মাসের পুত্র শিশুর প্রতি তারা অনেক যত্নশীল হয়ে ওঠে যার মাধ্যমে ওই পরিবারের সঙ্গে তাদের সখ্যতা তৈরি হয়।

এক পর্যায়ে গত ৩১ ডিসেম্বর সেই শিশুটিকে কৌশলে নিয়ে পালিয়ে যান আঁখি আকতার মীম। টানা ১০দিন পর কিশোরগঞ্জ জেলা থেকে উদ্ধার করা হয় সেই শিশুটিকে। এ ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে আঁখি আকতার মীম ও স্বামী পরিচয়দানকারি সৈয়দ হোসেনকে।

বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) দুপুরে কক্সবাজার পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুল ইসলাম।

উদ্ধার হওয়া শিশু সিফাত বাংলাবাজার এলাকার মো. আবু ছৈয়দ আজাদের ছেলে।

গ্রেফতার আঁখি আকতার মীম কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের টানকৃষ্ণনগর এলাকার হেলিম মিয়ার স্ত্রী ও স্বামী পরিচয়দানকারি সৈয়দ হোসেন রামুর লট-উখিয়ারঘোনা মৃত মালেকুজ্জামানের ছেলে।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুল ইসলাম বলেন, মীম ও সৈয়দ হোসেন স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে বাসা ভাড়া নিয়েছিল শিশু সিফাতকে অপহরণের উদ্দেশ্যে। যার জন্য সিফাতের পরিবারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা তৈরি করে মীম ও সৈয়দ। এক পর্যায়ে ৭ দিনের মাথায় ৫ মাসের শিশু সিফাতকে নিয়ে পালিয়ে যায় তারা। এ ঘটনায় কক্সবাজার সদর থানায় মামলা দায়েরের পর তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় সৈয়দ হোসেনের ভাই সৈয়দ কাশেমকে পুলিশ হেফাজতে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

সৈয়দ কাশেমের দেয়া তথ্যমতে, চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ এলাকা থেকে ৮ জানুয়ারি সৈয়দ হোসেনকে গ্রেফতার করা হয় এবং বুধবার কিশোরগঞ্জের ভৈরব থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে গ্রেফতার করা হয় আঁখি আকতার মীমকে।

পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুল ইসলাম বলেন, মীম হেলিম মিয়ার দ্বিতীয় স্ত্রী। হেলিম মিয়ার প্রথম স্ত্রীর ঘরে রয়েছে দুটি কন্যা সন্তান। বিয়ের পরে আঁখি আকতার মীম আশা করেছিলেন তাদের ঘরে পুত্র সন্তান জন্ম নিবে। কিন্তু ৩ মাস আগে মীম জন্ম দেন এক কন্যা সন্তান। ওই কন্যা সন্তানটিকে অন্যের কাছে বিক্রি করে দেয় এবং এরপরই শিশু সিফাতকে অপহরণ করে কিশোরগঞ্জের ভৈরবে নিয়ে গিয়েছিলো। পুরো অভিযান তদারকি করেন কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. মিজানুর রহমান।

কক্সবাজার সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ও মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা মো.আবদুল আজিজ জানান, এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় দুইজনকে আদালতের মাধ্যমে জবানবন্দি শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আর উদ্ধার হওয়া শিশুকে পিতা-মাতার কাছে হস্তান্তর করার প্রতিক্রিয়া চলছে।

অপহরণ,শিশু,উদ্ধার
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত