সাহায্যর আকুতি 

সিরাজগঞ্জে আর্থিক সংকটে হচ্ছে না মেধাবী ছাত্রের কিডনি প্রতিস্থাপন

প্রকাশ : ১১ জানুয়ারি ২০২৪, ১৭:৫৬ | অনলাইন সংস্করণ

  স্টাফ রিপোর্টার, সিরাজগঞ্জ

সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার বেত্রাশিন গ্রামের মেধাবী কলেজ ছাত্র জুনাইদ ইবনে আলী (১৭) চরম আর্থিক সংকটে দুটি কিডনি প্রতিস্থাপন করতে পারছে না। এজন্য সমাজের বিত্তশালীদের কাছে আর্থিক সাহায্যর আকুতি জানানো হয়েছে তার পরিবারের পক্ষ থেকে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, উক্ত গ্রামের মৃত আক্কাস আলীর ছেলে ওই মেধাবী ছাত্র ২০২২ সালে কিডনির সমস্যা দেখা দেয় এবং ওই বছরই ঢাকা সেন্ট্রাল অফ কিডনি ডিজিস হাসপাতাল থেকে ডা. কামরুল ইসলামের অধীনে চিকিৎসা নিচ্ছে। ওই হাসপাতালে পরীক্ষা নিরিক্ষা শেষে দু’টি কিডনিই প্রায় অকেজো হয়ে পড়েছে। প্রায় ১ বছর ধরে সপ্তাহে ২ দিন ডায়ালাসিস করে কোনরকম ভাবে জীবনযাপন করছে।

ওই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সুস্থ জীবনে ফিরে আসার একমাত্র উপায় তার দুটি কিডনিই প্রতিস্থাপন করতে হবে। তার এ দুটি কিডনি প্রতিস্থাপনে ব্যয়বহুল। এ খরচ বহন করা তার পরিবারের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না। মেধাবী ছাত্র জুনায়েদ স্থানীয় হাই স্কুল থেকে এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৫ পায় এবং সে বগুড়া পল্লী উন্নয়ন একাডেমী কলেজের ছাত্র। তার আশা ভালো লেখাপড়া করে উচ্চশিক্ষা লাভ করবে এবং সে প্রথম শ্রেণির একজন কর্মকর্তা হবে। কিন্তু সে আশা কেড়ে নিচ্ছে এই কিডনী জটিল রোগের কারণে।

এ সম্পর্কে তার মা হালিমা খাতুন কান্নাজড়িত কন্ঠে সাংবাদিকদের বলেন, ছেলের বেঁচে থাকার জন্য ওই হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয়েছে। এ চিকিৎসা ক্ষেত্রে বিপুল অর্থ ব্যয় করা হয়েছে এবং এজন্য এখন চরম আর্থিক সংকটে ভুগছি। এ কারণে ছেলের দুটি কিডনি প্রতিস্থাপনে ১২/১৩ লাখ টাকা জোগাড় করা সম্ভব হচ্ছে না। ক্রমশ ছেলের শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছে। দ্রুত কিডনি প্রতিস্থাপন করতে না পারলে ছেলেকে বাঁচানো সম্ভব হবে না। এ কারণে সমাজের বিত্তশালীদের কাছে চিকিৎসার সহযোগিতার আকুতি জানান।

সাহায্য ও যোগাযোগের জন্য তার বিকাশ নাম্বার (০১৩০২৫৭৪৮৪৮) ও নগদ নাম্বার (০১৮৫০৮২৮৭৮১)।

এদিকে সমাজের বিত্তশালীরা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলে ওই মেধাবী ছাত্র স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারে বলে বিশিষ্টজনেরা এই অভিমত ব্যক্ত করেছেন।