ঢাকা ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ঈশ্বরদী তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস

ঈশ্বরদী তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস

ঈশ্বরদীতে ঘনকুয়াশা আর কনকনে ঠান্ডায় বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। শীত ও কনকনে ঠান্ডা উপেক্ষা করে কাজে যেতে না পারায় কষ্টে পড়েছেন শ্রমজীবীরা।

শুক্রবার ( ১২ জানুয়ারি) এই রিপোর্ট পাঠানো পর্যন্ত ( দুপুর সাড়ে বারটা) দিনের বেলা সূর্যের দেখা মেলে না। সন্ধ্যার পর থেকে ঘন কুয়াশায় ঢেকে যায় পুরো এলাকা। রাতভর বৃষ্টির মতো ঘন কুয়াশা ঝরেছে। সাথে উত্তরের হিম বাতাসের কারণে তীব্র শীত অনুভূত হয়েছে। এতে হিম বাতাসে খেটে খাওয়া মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে। শীতের কারণে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ রিকশা-ভ্যানে উঠতে চান না। কনকনে শীতে দৈনন্দিন আয় কমে গেছে রিকশা-ভ্যানচালকসহ এসব শ্রমজীবী মানুষের।

শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) সকাল ৬ টায় ও বপলা ৯ টায় ঈশ্বরদীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১০ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগের দিন বৃহস্পতিবার ( ১১ জানুয়ারি) সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস । এক দিনের দিনের ব্যবধানে এখানে তাপমাত্রা কমেছে ৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

উপজেলার সাড়া ইউনিয়নের আড়মবাড়িয়া বাজারের মিলন আলী বলেন, আমি চা দোকানে কাজ করি, সকালে পানির কাজ করতে হয়। ঠান্ডার কারণে হাত পা বরফ হয়ে যাচ্ছে। সকাল সাড়ে ১২ টায় ঈশ্বরদী - লালপুর সড়কের আড়মবাড়িয়া বাজার এলাকায় দেখা যায় রাস্তার পাশে কয়েক জন অটোরিকশা চালক আগুন জ্বালিয়ে শরীরে উত্তাপ নেওয়ার চেষ্টা করছে।

দিনমজুর মো. সাইদুর রহমান বলেন, ভীষণ ঠান্ডা। কাজে যেতে মন চায় না। কিন্তু না গিয়েতো উপায় নাই। কাজ না করলে কি সংসার চলবে? তবে আমাদের চেয়ে শিশু ও বয়স্ক মানুষগুলোর শীতের কষ্টটা একটু বেশি।

ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. শফিকুল ইসলাম শামীম জানান, বয়স্ক ও শিশুরা শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে বেশি। ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়া পর্যবেক্ষক মতিয়ার রহমান জানান, আজ শুক্রবার ঈশ্বরদীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

তাপমাত্রা
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত