নীলফামারীতে তীব্র শীতে জনজীবন বিপর্যস্ত ,শীতজনিত রোগে আক্রান্ত শিশুরা 

প্রকাশ : ১৩ জানুয়ারি ২০২৪, ১৮:১৪ | অনলাইন সংস্করণ

  নীলফামারী প্রতিনিধি

নীলফামারীতে তীব্র শীতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। আবহাওয়া দপ্তর থেকে জানা গেছে তাপমাত্রা আজ শনিবার সকালে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

গত মঙ্গলবার থেকে পুণরায় শীতের দাপটে তাপমাত্রা কমতে কমতে আজ শনিবার এই তাপমাত্রায় এসেছে। এতে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলছে শীতের তীব্রতা আর এতে জনজীবনে দুর্ভোগ নেমে এসেছে। কুয়াশায় ছেয়ে আছে নীলফামারী সদরের গ্রামের রাস্তাঘাট।

মানুষ শীত নিবারনের জন্য আগুনের কুন্ডুলি জ্বালিয়ে দিয়েছে রাস্তায় রাস্তায়। সবচেয়ে বেশি শীতে কাহিল হয়েছে  তিস্তা নদী পরিবেষ্টিত জেলার টেপাখড়ি বাড়ী,শৌলমারী,  খগাখরি বাড়ি, গয়াবাড়ীতে সকাল গড়িয়ে রাতে কনকনে ঠান্ডা বিরাজ করছে। কুয়াশায় ছেয়ে আছে কয়েকদিন যাবৎ সকাল থেকে গড়িয়ে রাত অবধি। এদিকে শীতের আগমনের সাথে সাথে কষ্টে দিন কাটছে ফুটপাতে, নিম্ন শ্রেনির আয়ের মানুষ ও চরাঞ্চলের মানুষের। শীত বস্ত্রের অভাবে অনেকেই আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারনের চেষ্টা করছেন। নিম্ন আয়ের মানুষেরা পড়েছে সবচেয়ে বেশি বিপাকে। শীতের কারণে কাজেও যেতে পারছেনা এবং সরকারি ভাবেও তেমন কোন সাহায্য না থাকায় কষ্টে দিনযাপন করছেন পরিবার গুলো। তারা পুরনো গরম কাপড়ের দোকান গুলোতে ভীর করছেন। জলঢাকা উপজেলার শৌলমারী ইউনিয়নের শামীম হোসেন জানান, এখন সকাল থেকে তিস্তার আশেপাশের এলাকায় কনকনে ঠান্ডায় কাতর হয়ে যায় দরীদ্র মানুষেরা।

আর কুয়াশায় ঢেকে থাকে গোটা এলাকা। গত দুইদিন ধরে সূর্যের দেখা নেই। নীলফামারী সদরের লক্ষীচাপ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক এবং সোনারায়  ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরল ইসলাম শাহ বলেন, প্রচন্ড শীতে জমিনের কৃষিকাজে মেহনতী মানুষেরা যেতে না পারায় কষ্টকর পরিস্থিতিতে পড়েছে। কৃষি শ্রমিক হাসান আলী বলেন, তীব্র শীতে কাজ কমে গেছে, আর যেটুকু মিলছে তাতে মজুরি কম, তাই শীতবস্ত্র কেনার টাকাও নেই, পরিবারের শিশু সন্তান নিয়ে এবার বিপাকে পড়েছি। 

শীতের কারণে আগের তুলনায় শহরে লোকজন কমেছে, ফলে মন্দাভাব দেখা দিয়েছে জেলা সদরের পৌর এলাকার শাকামাছা হাটে ব্যাবসা বানিজ্যে থমকে গেছে। নীলফামারী পৌর এলাকার বড়ো বাজারের ব্যাবসায়ী শৃঙ্খলা সমিতির সাধারণ সম্পাদক হামিদুল ইসলাম আলোকিত বাংলাদেশ কে বলেন, লোকসমাগম কমে যাওয়ার কারণে বেচা বিক্রি কমেছে। এদিকে শীতের তীব্রতায় বয়স্ক ও শিশুরা কাহিল হয়ে গেছে। নীলফামারী সদর হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা,আবু আল হাজ্জাজ আলোকিত বাংলাদেশ কে বলেন,শীত জনিত কারনে বর্তমানে ৫০ জন শিশু ভর্তি রয়েছে,তাদের চিকিৎসা সেবা যথাযথ ভাবে দেয়া হচ্ছে। নীলফামারী চেম্বার অ্যান্ড কমার্স ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেডের সভাপতি প্রকৌশলী এস এম সফিকুল আলম ডাবলু আলোকিত বাংলাদেশ কে বলেন, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে রাশিয়া ইউক্রেনের যুদ্ধ চলমান এবং নির্বাচন কালীন বিরোধী দলের কর্মসূচীর কারণে জিনিস পত্রের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে কয়েকগুণ তার উপরে এই তীব্র শীতে শহরে লোকসমাগম কমে গেছে। নীলফামারী জেলা প্রশাসক পঙ্কজ ঘোষ  আলোকিত বাংলাদেশ কে বলেন, সরকারি ভাবে চল্লিশ হাজার কম্বল গোটা জেলায় বিতরন করা হয়েছে, আরও কম্বলের জন্য মন্ত্রনালয়ে আবেদন পাঠানো হয়েছে, এলে বিতরন করা হবে।