শীতে কাঁপছে ঈশ্বরদীবাসী, দেখা মিলছে না সূর্যের

প্রকাশ : ১৪ জানুয়ারি ২০২৪, ১৮:৩৯ | অনলাইন সংস্করণ

  ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি

পাবনার ঈশ্বরদীতে রবিবার দিনভর সূর্যের দেখা মেলেনি। পৌষ মাসের শেষ সময়ে উত্তরের হিমেল হাওয়া বইছে। ফলে ঈশ্বরদীতে পুরোপুরি  বেড়েছে শীতের তীব্রতা। এতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। এদিন ঘন কুয়াশার সঙ্গে বাতাসে এখানে শীতের মাত্রা আরও বেড়ে যায়। প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া তেমন বাইরে যাননি সাধারণ মানুষ। রাস্তাঘাট ফাঁকা। গাড়ী চলছে হেডলাইট জ্বালিয়ে। হাসপাতালে বাড়ছে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর ভিড়।

ঈশ্বরদী  আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন জানান, গত তিন দিন ধরেই ঈশ্বরদীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা  ৯ থেকে ১০ ডিগ্রি  সেলসিয়াসর মধ্যে রেকর্ড করা হচ্ছে। বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ।
বেশি শীতের তীব্রতা অনুভূতির কারণ হচ্ছে একদিকে রোদের দেখা নেই, পড়ছে ঘনকুয়াশা। অন্যদিকে কনকনে বাতাস বইছে। কমেছে সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পার্থক্য। ফলে শীতের অনুভূতি বেড়ে যাওয়ায় সব প্রক্রিয়াই বিরাজ করছে । বিশেষ করে উত্তরের বাতাসে মাঘের কনকনে শীতের আমেজ পাওয়া যাচ্ছে।

শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় ঈশ্বরদী উপজেলা বিভিন্ন চরাঞ্চলে হতদরিদ্র মানুষ কষ্টের মধ্যে পড়েছেন। বেড়ে চলছে সর্দি, কাশি ও ঠান্ডাজনিত রোগের প্রকোপ। 

এদিকে গত তিন দিনে  দিন-রাতের তাপমাত্রা প্রায় কাছাকাছি ছিল। এ জন্য ঠাণ্ডা বেশি অনুভূত হচ্ছে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে উপজেলাবাসী। এই শীতে জীবিকার অন্বেষণে প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হয়েছে শ্রমজীবী ও নিম্ন-আয়ের লোকজন।

তীব্র শীতের কারণে গরম কাপড়ের অভাবে ঘরের বাইরে বের হতে পারছেন না নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া দিনমজুর মানুষজন। শীতের তীব্রতা বাড়ায়  পুরাতন কাপড়ের দোকাবে ভীড় করছে তারা। পেটের তাগিদে বাহির হলেও আক্রান্ত হচ্ছেন শীতজনিত নানান রোগে। শীতের কারণে প্রয়োজন ছাড়া মানুষজন তেমন একটা ঘরের বাইরে বের হচ্ছে না। সড়কে মানুষের চলাচল কমে যাওয়ায় রোজগার কমায় বিপাকে পড়েছেন ভ্যান-রিকশাচালকরা। একইভাবে কাজে যেতে না পেরে বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া দিনমজুর মানুষজন।

দিনমজুররা বলেন, ‘কয়েক দিন শীতের প্রকোপ কিছুটা কম থাকলেও শুক্রবার থেকে শীতের মাত্রা অনেকটা বেড়েছে। যত দিন যাচ্ছে তত শীতের মাত্রা বাড়ছে। কুয়াশার কারণে দিনের বেলাতেও মনে হচ্ছে সন্ধ্যা লেগে গেছে।  এতে করে তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। শীতের কারণে ঘর থেকে বাহির হওয়া যাচ্ছে না। এতে করে ঠিকমতো কাজেও যেতে পারছি না। আবার পেটের তাগিদে বাহির হলেও যারা কাজে নেবে তারা না আসায় আগের মতো কাজ মিলছে না। কাজ করতে না পারায় সংসার চালানো খুব কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে আমাদের মতো মানুষদের। তার ওপর গরম কাপড়ের অভাব তো রয়েছে। সব মিলিয়ে শীতের কারণে আমাদের খুব কষ্ট ভোগ করতে হচ্ছে।