লক্ষ্যমাত্রার বেশি সরিষা উৎপাদনের সম্ভাবনা

দিনাজপুরে ৫২ হাজার সরিষা চাষীর মাঝে সরকারি প্রণোদনা  

প্রকাশ : ১৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫:৫৬ | অনলাইন সংস্করণ

  বীরগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধি

বাজারে যখন ভোজ্য তেলের দামে অস্থিরতা শুরু হয়েছে ঠিক তখন ধান উৎপাদনের জন্য বিখ্যাত জেলা দিনাজপুরের কৃষকরা ব্যাপকহারে শুরু করেছে তেল জাতীয় ফসল সরিষার আবাদ। আর এ আবাদকে আরও বেগবান করার জন্য দিনাজপুরে ৫২ হাজার সরিষা চাষীর মাঝে দেয়া হচ্ছে সরকারি প্রোণদনা। 

দিনাজপুরে সরিষার লক্ষমাত্রা ছিল ২৭ হাজার ৯৭ হেক্টর জমিতে। লক্ষমাত্রা ছড়িয়ে সরিষার আবাদ হয়েছে ২৭ হাজার ৩৬৯ হেক্টর জমিতে। গত বছরের চেয়ে ৪ হাজার ৭২৯ হেক্টর জমিতে বেশি আবাদ হয়েছে। সে হিসেবে কাটা-মাড়াইয়ের পর দিনাজপুর জেলায় এবার প্রায় ১ কোটি  ৪৫ লাখ লিটার ভোজ্য তেল (সরিষার তেল) উৎপন্ন হবে।

দিনাজপুর জেলার কৃষকরা জানান, আমন ধান আবাদের পর বোরো আবাদ শুরু না হওয়া পর্যন্ত তারা পতিত জমিতে সরিষার চাষ করছেন। আর ক’দিন পরেই সরিষা ঘরে তুলে ওই জমিতে বোরো আবাদ করবেন।এক বিঘা জমিতে সরিষা আবাদ করতে সবমিলিয়ে খরচ হয় ১০ হাজার থেকে ১২ হাজার  টাকা। ফলনও ভালো হয়েছে। অন্তত ৮ থেকে ৯ মণ সরিষার ফলন পাবেন বলে আশা করছেন তারা । বর্তমান বাজার অনুযায়ী সরিষা বিক্রি করে অন্তত ২৫ হাজার টাকা পাবেন। এতে তারা এক বিঘা জমিতে ১৫ হাজার টাকা বাড়তি আয়ের পাশাপাশি পরিবারের ভোজ্য তেলের চাহিদাও মিটবে।

দিনাজপুর জেলা কৃষি সস্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক নুরুজ্জামান জানান, ভোজ্য তেলের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি আর্থিকভাবে লাভবান করতে কৃষকদের এবার সরিষা আবাদে উৎসাহিত করা হয়েছে। দিনাজপুর জেলার ১৩ উপজেলার সরিষাচাষী কৃষকদের মাঝে আওয়ামী লীগ সরকার  ৫২হাজার ২শত কৃষককে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ করেছে। ফলে জেলায় এবার সরিষার আবাদ ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পেয়েছে।

তেল প্রস্তুতকারক ও কৃষি বিভাগের কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ৪১ হাজার ৫৫৩ মেট্রিক টন সরিষা দিয়ে প্রায় ১ কোটি ৪৫ লাখ লিটার ভোজ্য তেল উৎপাদন করা সম্ভব।

দিনাজপুরের তেলকল মালিকেরা জানান, প্রতিমণ (৪০ কেজি) সরিষায় তেল পাওয়া যায় ১৬ লিটার। অর্থ্যাৎ এক মেট্রিক টন সরিষায় তেল উৎপাদন হয় ৪শ’ লিটার।