রংপুরে তীব্র শীতের কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। প্রায় দেড় সপ্তাহ ধরে সূর্যের দেখা মেলেনি যদিও শুক্রবারে দেখা দিয়েছে রংপুরে সূর্যের ছোয়া। এদিকে তীব্র শীত আর ঘন কুয়াশায় চলতি মৌসুমে ভূট্টা, আলু ও বোরো ধান আবাদের জন্য বীজতলায় কর্মব্যস্ত হয়ে পড়ছেন কৃষকরা।
বীজতলায় তীব্র শীতের কারণে দেখা দিচ্ছে নানা সমস্যা। সমস্যা এড়াতে কৃষকসহ কৃষি বিভাগও এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন বীজতলা বাচাঁতে।
রংপুর মহানগরীসহ জেলার বিভিন্ন এলাকায় একই সঙ্গে তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশা থেকে বীজতলা রক্ষা করতে কৃষকদেরকে নানা পরামর্শ দিয়ে আসছেন কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা। তারা পাড়া মহল্লায় গিয়ে স্থানীয় কৃষকদের তীব্র শীতের প্রভাব থেকে ফসল রক্ষায় করণীয় নিয়ে বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে আসছেন।
কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, দেশের বিভিন্ন জায়গার ন্যায় রংপুরেও চলমান রয়েছে তীব্র শীত, পাশাপাশি রয়েছে ঘন কুয়াশা। তাছাড়া দেশের বেশ কয়েকটি জায়গার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্য প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায় তীব্র শীত আর শৈত্যপ্রবাহের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে মাঠের ফসল রক্ষার জন্য নানান পরামর্শ দিয়ে আসছেন কৃষি বিভাগ।
পরামর্শ হিসেবে কৃষি বিভাগ জানান, তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশা হলে বোরো ধানের বীজতলায় ৩-৪ সেন্টিমিটার পানি ধরে রাখতে হবে। ঠান্ডার প্রকোপ থেকে রক্ষা এবং চারার স্বাভাবিক বৃদ্ধির জন্য বীজতলা রাতে স্বচ্ছ পলিথিন দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। সকালে বীজতলা থেকে পানি বের করে দিয়ে আবার নতুন পানি দিতে হবে এবং প্রতিদিন সকালে চারার ওপর জমাকৃত শিশির ঝরিয়ে দিতে হবে।
মিঠাপুকুর উপজেলার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা যাদু মিয়া বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে তীব্র শীত পড়েছে। এ অবস্থায় বোরো বীজতলা রক্ষা করতে আমরা মাঠ পর্যায়ে কৃষকদেরকে নানা পরামর্শ দিয়ে আসছি। কৃষকরা যদি কথা মতো কাজ করে তবে বীজতলার কোন ক্ষতি হবে না।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো: রিয়াজ উদ্দিন বলেন, কৃষি বিভাগ হতে চলতি মৌসুমে বোরো ধান আবাদ করতে বীজতলা তৈরি, তীব্র শীত থেকে রক্ষা পেতে এবং ফলন বৃদ্ধিতে কৃষকদেরকে বিভিন্ন পরামর্শসহ সার্বিকভাবে সহযোগিতা করা হচ্ছে। এবার বেশ কিছুদিন হতে শীতের কারণে বিজতলায় বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিচ্ছে। আমাদের কৃষি অফিসারদের কঠোর নির্দেশনা দেয়া আছে। বীজতলা রক্ষার্থে আমরাও মাঠে রয়েছি যাতে বীজতলার সমস্যা না হয়।
