ঢাকা ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

স্বল্প পুঁজিতে সোনালি মুরগি পালনে সফিকুল এখন স্বাবলম্বী

স্বল্প পুঁজিতে সোনালি মুরগি পালনে সফিকুল এখন স্বাবলম্বী

চাঁদপুর জেলার মতলব দক্ষিন এলাকার উদ্যোক্তা সফিকুল ইসলাম বিদেশে কাজের জন্য পাড়ি না জমিয়ে স্বল্প পুঁজিতে মাত্র ২ লাখ টাকা বিনিয়োগে সোনালি মুরগি পালনের ব্যবসা শুরু করে ২ বছরের মাথায় এখন পুরোপুরি স্বাবলম্বী হওয়ার সক্ষমতা অর্জন করে এলাকায় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।

শফিকুল ইসলাম রিংকু শহরের মতলব দক্ষিন এলাকা পৌর মধ্যকলাদী এলাকায় ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। তিনি মাত্র ২ শতাংশ জায়গায় প্রাথমিকভাবে এক হাজার মুরগি কিনে ব্যবসা শুরু করে এখন প্রতি দুই মাসে আয় করেন প্রায় ৩০ হাজার টাকা। দুই বছর অতিক্রম করার পর তার চালান (পুঁজি) ভারী হওয়ায় তিনি এখন এলাকায় আলোচনার বিন্দুতে পরিনত হয়েছেন।

মতলব এলাকায় সফিকুল ইসলাম রিংকুর এ ধরনের উদ্যোগ ও সফলতায় এলাকার অসংখ্য বেকার যুবক সোনালীসহ বিভিন্ন ধরনের মুরগীর খামার প্রস্তুতে আগ্রহী হয়ে উঠেছে।

মতলব দক্ষিনের এক স্থানীয় বাসিন্দা জানান, জীবিকার তাগিদে বিদেশে পাড়ি না জমিয়ে স্বল্প পুঁজি নিয়েই সোনালি মুরগির খামারটি গড়ে তোলেন শফিকুল ইসলাম রিংকু। আর আজ সে পুরোপুরি সাবলম্বী।

এ বিষয়ে সফলতার মূখ দেখা সোনালী খামারের উদ্যোক্তা শফিকুল ইসলাম রিংকু জানান, আমার বাড়ির পরিত্যক্ত ২ শতাংশ জায়গায় আমি শখের বসে এই খামারটি গড়ে তুলেছি। যেখানে সব মিলিয়ে আমার প্রায় ২ লাখ টাকা ব্যয় হয়। এখন আমি এখানে প্রতি ২ মাসের জন্য এক হাজার করে সোনালি মুরগি বাচ্চা থেকে বড় মুরগী করি। পরে নির্দিষ্ট দোকানদাররা এখান থেকে মুরগি ক্রয় করে নিয়ে যায়। বাজারে বর্তমানে মুরগির খাদ্যের দাম ব্যাপক আকারে বাড়লেও সব খরচ বাদ দিয়ে প্রতি ১ হাজার সোনালী মুরগীর বাচ্চা বড় করে মুরগী বিক্রি করে আমার প্রায়৩০ হাজার টাকা লাভ হয়।

তিনি আরো বলেন, আমার উপার্জিত আয় দিয়ে ২ মেয়ে ও ১ ছেলের পড়াশুনা চারিয়ে সংসার পরিচালনা করে অনেক ভালো আছি। আমি মনে করি কোন কাজকে ছোট করে দেখা ঠিক না। পরিশ্রম ও আগ্রহ থাকলে চাকরির পেছনে না ছুটে যেকোনোভাবে উদ্যোক্তা হয়েও স্বাবলম্বী হওয়া সম্বব। আমি একদিনের বাচ্চা কিনে ৮০০-৯০০ গ্রাম ওজন হলেই বিক্রি করে দেই। এলাকার অন্য যুবকরা খামারি হতে আগ্রন দেখালে তাদেরও পরামর্শ সহায়তা দিচ্ছি। আমি যাতে আগামীতে আমার এ ব্যবসাকে আরো বৃদ্ধি করতে পারি সেজন্য সরকারে কাছে তথা এলাকাবাসীসহ সকলের নিকট দোয়া ও সহযোগীতা চাই।

এ বিষয়ে সরকারের উপ-সহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (প্রাণী স্বাস্থ্য) পলাশ কুমার দাস বলেন, অনেকেই সোনালি মুরগির খামার করে সফল হচ্ছে। দেশের মুরগির মাংসের মোট লক্ষ্যমাত্রার সিংহভাগই সোনালি মুরগি থেকে আসছে। আশা করছি আগামীতে আরো এর পরিধি বাড়বে। আমাদের কাছে কোনো পরামর্শ ও সহায়তার প্রয়োজন হলে আমরা সবসময় আপনাদের পাশে আছি।

স্বল্প পুঁজি,স্বাবলম্বী,সোনালি
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত