ঈশ্বরদীতে মৃদু শৈত প্রবাহ বইছে। তীব্র শীত ও তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে নেমে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকায় পাবনা জেলায় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) টানা দ্বিতীয় দিনের মতো বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ১১৩৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ৫২৮টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়।
এর আগে সোমবার (২২ জানুয়ারি) একই কারণে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। মঙ্গলবার ( ২৩ জানুয়ারি) ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিস তাপমাত্রা ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা করেছে। এটি ঈশ্বরদীতে এ মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
গত রাতে সোমবার (২২ জানুয়ারি) পাবনা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সিদ্দিক মোহাম্মদ ইউসুফ রেজা ও জেলা শিক্ষা অফিসার মো. রোস্তম আলী হেলালীর সই করা পৃথক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী মঙ্গলবার ( ২৩ জানুয়ারি) তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে হওয়ার সম্ভাবনা থাকায় জেলার সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম একদিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হলো। এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসারদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
একই সাথে মাধ্যমিক শিক্ষা দপ্তর থেকেও একই কারণে একই দিনে এ নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
এর আগে গত ১৬ জানুয়ারি মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর এক নির্দেশনায় জানায়, শৈত্যপ্রবাহে কোন জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে হলে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মতো প্রাথমিক বিদ্যালয়ও বন্ধ থাকবে।
পাবনার ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিসের দেওয়া তথ্যমতে, সোমবার (২২ জানুয়ারি) পাবনার ঈশ্বরদীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রবিবার (২১ জানুয়ারি) পাবনার ঈশ্বরদীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগের দিন শনিবার (২০ জানুয়ারি) তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এখানে গত কয়েক দিন ধরে ক্রমাগত তাপমাত্রা কমছে।
এরই মধ্যে উত্তরের হিমেল বাতাস, ঘন কুয়াশা ও কনকনে ঠান্ডায় ঈশ্বরদীর জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। অনেকে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন।