অধ্যক্ষসহ ৫ জনকে শোকজ

সিরাজগঞ্জে দূর্ণীতির মাধ্যমে নিয়োগ দেয়ায় ১১ জনকেবিবাদী করে মামলা

প্রকাশ : ২৩ জানুয়ারি ২০২৪, ১৯:৫০ | অনলাইন সংস্করণ

  স্টাফ রিপোর্টার, সিরাজগঞ্জ

সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার গোন্তা আলিম মাদ্রাসায় অনিয়ম দূর্ণীতির মাধ্যমে গোপনে নিয়োগ পরীক্ষার ভেন্যু পরিবর্তন করে অন্যান্য চাকরি প্রার্থীদের না জানিয়ে ৪টি পদে ৪ জনকে নিয়োগ দেয়ার সহযোগিতা করার অভিযোগে জেলা প্রশাসকসহ ১১ জনকে বিবাদী করে মামলা করা হয়েছে। সোমবার তাড়াশ সহকারী জজ লোকমান হাকিমের আদালতে হাদিউল ইসলাম গং বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। বিজ্ঞ আদালত এ মামলা সাময়িকভাবে গ্রহণ করেন এবং ৫ জনকে ৩০ দিনের মধ্যে কারণ দর্শনার আদেশ প্রদান করেছেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী একরামুল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি আলোকিত বাংলাদেশকে জানান, অপর প্রকার মোকদ্দমা (তাড়াশ) মামলা নম্বর ৬/২৪। এ মোকদ্দমার বিবাদীরা হলেন, ওই মাদ্রাসার অধ্যক্ষ, সভাপতি, উপজেলা শিক্ষা অফিসার, জেলা শিক্ষা অফিসার, জেলা প্রশাসক, বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহা পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব), পরিচালক (প্রশানক ও অর্থ) ও ডিজির প্রতিনিধি, তাড়াশের সেলিম রেজা, সাগর ও স্বপ্না খাতুন।

এ মোকদ্দার বাদীগণ উক্ত মাদ্রাসায় উপাধ্যক্ষ, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর, নিরাপত্তাকর্মী এবং আয়া পদে ৪টি শূন্য পদে ২০২৩ সালের ২৭ জুন একটি জাতীয় দৈনিকে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেখে ওই ৪ প্রার্থীসহ ভিন্ন ভিন্ন পদে আবেদন করেন। গত ২১ জুলাই/২০২৩ ইং ওই বিজ্ঞপ্তির ৩টি পদের নিয়োগ পরীক্ষার প্রবেশপত্র প্রদান করা হয়। এ অনিয়ম দূর্ণীতির কারণে নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিতের জন্য ২০ জুলাই নিয়োগ পরীক্ষার আগের দিন উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর অভিযোগ দেয়া হয়। ২১ জুলাই নির্ধারিত পরীক্ষার তারিখে একাধিক চাকুরি প্রত্যাশী প্রার্থী নিয়োগ নেয়ার জন্য টাকা দিয়েও প্রতারণার শিকার হয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে একজন কীটনাশক প্রাণ করেন এবং অপর এক প্রার্থী পরীক্ষা কক্ষেই রশি দিয়ে গলায় ফাঁস নেয়ার চেষ্টা করেন। এ কারণে ডিজির প্রতিনিধি এ নিয়োগ স্থগিত করে চলে যান। পরবর্তীতে পরীক্ষার ভেন্যু পরিবর্তনের জন্য ২০২৩ সালের ৩ ডিসেম্বর তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী অফিসাকে মাধ্যম করে মহাপরিচালক লিখিত আবেদন করেন ওই মাদ্রাসার অধ্যক্ষ এবং ৪ ডিসেম্বর ওই লিখিত পত্রে সুপারিশ করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার।

ওই মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ও সভাপতির যোগসাজসে অবৈধভাবে অন্য কোন প্রার্থীদের প্রবেশপত্র না দিয়েই গোপনে ২৯ ডিসেম্বর ওই ৪ পদে ৪ জনকে নিয়োগ সম্পন্ন করেন এবং তাদের বিল বেতন প্রদানের জন্য মাদ্রাসা অধিপ্তরে প্রেরণ করা করেছেন। তিনি আরো বলেন, এ মামলা দায়েরর পর বিজ্ঞ আদালতে বিবাদীগণের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার আদেশ দাখিল করলে বিজ্ঞ আদালত শুনানি শেষে ওই মাদ্রাসার সভাপতি আতিকুর রহমান, অধ্যক্ষ টি.আর আব্দুল মান্নান, ও নিয়োগপাপ্ত সেলিম রেজা, সাগর ও স্বপ্না খাতুনকে ৩০ দিনের মধ্যে কারণ দর্শনার আদেশ দেয়া হয়েছে।