নবজাতকসহ লাবনীর ঠাঁই হলো শিশু পরিবারে

প্রকাশ : ২৪ জানুয়ারি ২০২৪, ১৭:০৪ | অনলাইন সংস্করণ

  রংপুর ব্যুরো

নবজাতক বিক্রির ঘটনায় অভিভাবকহীন ও আশ্রয়হীন হয়ে পড়া লাবনী আক্তার ও তার নবজাতকের পাশে দাঁড়িয়েছেন জেলা প্রশাসন রংপুর। জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তর রংপুরের মাধ্যমে লাবনী আক্তার ও নবজাতকের অবশেষে ঠাঁই হয়েছে সরকারি শিশু পরিবার বালিকায়। স্থায়ী সমাধান না হওয়া পর্যন্ত সেখানেই থাকবেন বলে জানিয়েছেন রংপুর সমাজসেবা অধিদপ্তর ।

আজ বুধবার (২৪ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় নগরীর বিনোদপুরে অবস্থিত সরকারি শিশু পরিবার বালিকায় সমাজসেবার অধিদপ্তর রংপুরের মাধ্যমে তাকে স্থানান্তর করা হয়।বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রংপুর জেলা সমাজসেবার অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো: আব্দুল মতিন।

তিনি জানান, গত কয়েকদিন থেকে গণমাধ্যমে নবজাতক বিক্রির ঘটনায় অসহায় লাবনী আক্তারের খবর প্রকাশিত হলে বিষয়টি জেলা প্রশাসনের নজরে আসে। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরকে জানালে আমরা তাৎক্ষণিক বিষয়টি আমলে নেই। এরপর অসহায় ওই নারীর পাশে দাঁড়াই। পরবর্তিতে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে কথা বলে অসহায় নারী ও নবজাতককে আমরা সরকারি শিশু পরিবার বালিকায় থাকার ব্যবস্থা করি। যতদিন পর্যন্ত বিষয়টি নিষ্পত্তি না হয়, ততদিন পর্যন্ত আমাদের সমাজসেবা থেকে সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।

এদিকে, রংপুর সরকারি শিশু পরিবার বালিকার তত্বাবধায়ক আলতাব হোসেন সরকার জানান, আমাদের এখানে সকালে নবজাতককে নিয়ে ওই নারী আসে। আমরা আমাদের সাধ্যমত সরকারি সহযোগিতা প্রদান করেছি।

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান জানান, অসহায় লাবনী আক্তার ও নবজাতকের বিষয়টি জানার পর আমরা দ্রুত সমাজসেবা অধিদপ্তরকে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ প্রদান করি। সেই মোতাবেক জেলা সমাজ সেবা অধিদপ্তরের মাধ্যমে নবজাতক ও ওই নারীকে সরকারি শিশু পরিবার বালিকায় রাখা হয়েছে।

উল্লেখ্য, রংপুর নগরীর ভুরারঘাট এলাকার ওয়াসিম আকরামের স্ত্রী লাবনী প্রসব ব্যথা নিয়ে গত ১৩ জানুয়ারি হলিক্রিসেন্ট হাসপাতালে ভর্তি হন। সেই রাতে সিজারের মাধ্যমে একটি ছেলে সন্তানের জন্ম দেন তিনি। তিনদিন পর ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ লাবনী ও তার স্বামী ওয়াসিমকে বিল পরিশোধের জন্য চাপ দিতে থাকলে একপর্যায়ে ওয়াসিম ও লাবনী দম্পতির অসচ্ছলতাকে পুঁজি করে হাসপাতালের পরিচালক এমএস রহমান রনি তার পূর্বপরিচিত জেরিনা আক্তার বিথী ও তার স্বামী রুবেল হোসেন রতনের কাছে ৪০ হাজার টাকার বিনিময়ে নবজাতককে বিক্রি করে দেন। এ কর্মকাণ্ডে সহযোগিতা করে লাবনীর স্বামী ওয়াসিমও।

এ ঘটনায় লাবনী আক্তার কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ রোববার নগরীর পীরজাবাদ এলাকা থেকে নবজাতককে উদ্ধার করেন এবং অভিযুক্ত তিনজনকে গ্রেফতার করে।