নারায়ণগঞ্জে কার্টনে ৪২ লাখ টাকা, সার্ভেয়ারকে ৩ দিনের রিমান্ড

প্রকাশ : ২৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১৯:৩৮ | অনলাইন সংস্করণ

  নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

নারায়ণগঞ্জে ঘুষের ৪২ লাখ টাকা ভর্তি কার্টন উদ্ধারের ঘটনায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সার্ভেয়ার মো. কাউছার আহমেদের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে বিজ্ঞ আদালত। বুধবার (২৪ জানুয়ারি) জেলা ও দায়রা জজ আদালতে এ রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।

নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালত শুনানী শেষে রিমান্ডের আদেশ দেন।

এ ব্যাপারে কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান বলেন, বুধবার দুদকের তদন্তকারী কর্মকর্তা আসামি কাউছারের ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন করলে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি দমন আইন ও মানি লন্ডারিং আইনের আওতায় মো. কাউছার আহমেদের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।

প্রসঙ্গত, ১৮ জানুয়ারি দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ভূমি অধিগ্রহণ শাখার সার্ভেয়ার কাউছার আহমেদকে দুদকের মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়। ঐ মামলায় ৪২ লাখ টাকার কার্টন বহনকারী মো. জাহিদুল ইসলাম ওরফে সুমন এবং ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে তাকে আসামি করা হয়।

এছাড়া ওই ঘটনায় গত ২২ জানুয়ারী অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এইচ এম সালাউদ্দীন মনজুকেও বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে। গত সোমবার এক প্রজ্ঞাপনে তাঁকে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে সংযুক্ত করা হয়। এছাড়া নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ভূমি অধিগ্রহণ শাখার সিনিয়র সহকারী কমিশনার খাদিজা বেগমকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। এই শাখায় দায়িত্ব দেয়া হয়েছে অপর সহকারী কমিশনার আর্নিকা আক্তারকে। তবে ঘটনার সঙ্গে রানা নামের এক ব্যক্তির সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হলেও এখনো রানার পরিচয় উদঘাটন করতে পারেনি দুদক।

দুদক সূত্রে জানা যায়, গত ১০ জানুয়ারি রাত দশটার দিকে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে থেকে সিদ্ধিরগঞ্জ রাজস্ব সার্কেলের প্রাক্তন আউটসোর্সিং কর্মচারী জাহিদুল ইসলাম সুমন (২৮) একটি কার্টনসহ নিরাপত্তা কর্মীদের হাতে আটক হন। জেলা প্রশাসকের নির্দেশে ওই কার্টন খুলে টাকা গুনে ৪২ লাখ টাকা পাওয়া যায়। পরে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করে টাকাগুলো জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের কোষাগারে জমা রাখা হয়।

জব্দ করা ৪২ লাখ টাকার সাথে দুর্নীতির সম্পৃক্ততা আছে ধারণা করে গত ১৪ জানুয়ারি জেলা প্রশাসক মাহমুদুল হক দুর্নীতি দমন কমিশনে চিঠি দেন। পরে ১৬ জানুয়ারি দুদক তাদের জেলা কার্যালয়ে মানি লন্ডারিং, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ও দন্ডবিধির কয়েকটি ধারায় একটি মামলা করে। ওই মামলায় জাহিদুল ইসলাম সুমন ও কাওসার আহমেদকে আসামি করা হয়। কাওসারকে গ্রেপ্তার ও জাহিদুল ইসলাম সুমন পলাতক রয়েছে বলে জানায় দুদক।